Manik Bhattacharya: বিধানসভায় এবার সশরীরে 'নিখোঁজ' মানিক
তদন্ত কি সঠিক পথে এগোচ্ছে? 'একশো ভাগ হচ্ছে। যখন যা সহযোগিতার প্রয়োজন হয়েছে, করেছি', বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি।
![Manik Bhattacharya: বিধানসভায় এবার সশরীরে 'নিখোঁজ' মানিক Manik Bhattacharya: বিধানসভায় এবার সশরীরে 'নিখোঁজ' মানিক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/30/387662-bhat.jpg)
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: মানিক ভট্টাচার্য কোথায়? হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি। সিবিআই যখন লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে, তখন বিধানসভায় এলেন নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেও যোগ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান। স্বাভাবিক নিয়মে যাবতীয় কাজকর্ম সারলেন। কথা বললেন অন্য বিধায়কদের সঙ্গেও।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। স্রেফ ২০১৭ সালের টেটের দ্বিতীয় মতালিকা বেআইনি ঘোষণা নয় দুর্নীতি মামলা তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তদন্ত চলবে হাইকোর্টের নজরদারিতে।
আদালতের নির্দেশে পর্ষদ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি ম্যারাথন জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিক। এমনকী, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি, সেদিন মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর ২৬ জুলাই সিজিও কমপ্লেক্সেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রের খবর, দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নাকি এখন আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না! অগস্ট দু'বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। হাইকোর্টে গিয়ে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে সিবিআই।
'হারানো' মানিককে খুঁজে বের করে জি ২৪ ঘণ্টা। প্রথমে তাঁর সঙ্গে ফোন কথা বলেন আমাদের প্রতিনিধি। তারপর ভিডিয়ো কলেও দেখা দেন পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। এমনকী, ফোন ঘুরিয়ে ফ্ল্যাটের অন্দরমহলও চিনিয়ে দেন তিনি। বলেন, 'আমি বাড়িতেই আছি'। যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে বাড়ি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। ঠিকানা? ৫৩/৩এ/১। এবার বিধানসভায়ও দেখা গেল তাঁকে। তদন্ত কি সঠিক পথে এগোচ্ছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, একশো ভাগ হচ্ছে। যখন যা সহযোগিতার প্রয়োজন হয়েছে, করেছি'।
২৩ অগস্ট, মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে দায়িত্ব নেন গৌতম পাল। কল্য়াণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য তিনি। পর্ষদের নয়া সভাপতির ঘোষণা, 'এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে'। আদালতে নয়, বরং পর্ষদের ওয়েবসাইটে যাতে সরাসর বেনিয়মে অভিযোগ জানাতে পারেন চাকরিপ্রার্থীরা, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ওয়েবসাইটেও। এদিকে চাকরি না পেয়ে রাস্তায় নেমেছেন প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণরা। লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। ১৭ অগস্ট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। টেট উত্তীর্ণদের দাবি, আলোচনা ইতিবাচক। তাঁদের অভাব-অভিযোগ মন দিয়ে শুনেছেন মন্ত্রী। তবে, চাকরি নিয়ে কোনও আশ্বাস দেননি।