JU Student Death: যাদবপুরে ধুন্ধুমার, স্বপ্নদীপের বাড়িতে তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা...
মিছিলে বাধা? অরবিন্দ ভবনের সামনে ৩ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা, এসএফআই ও ডিএসএফের সংঘর্ষে জড়াল টিএমসিপি-র সদস্যরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: 'আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই'। রানাঘাটে গিয়ে যেদিন স্বপ্নদীপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, সেদিনই শাসকদলের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারকাণ্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বচসা, সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন: JU Student Death: 'মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে'!
রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ। বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! যাদবপুর কাণ্ডে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে পুলিশের জালে আরও ৬ পড়ুয়া। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। পুলিস সূত্রে খবর, যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁদের।
এদিকে যেদিন মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের, সেদিন ফোনে তার বাবার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মিনিট কথা হয় দু'জনের। মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বাস দেন, 'দ্রুত তদন্ত করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না'। শুধু তাই নয়, বেহালায় প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, 'আতঙ্কপুরী হয়ে গিয়েছে যাদবপুরের মতো গর্বের বিশ্ববিদ্যালয়। আমি দুঃখিত, আমি স্তম্ভিত আমি মর্মাহত'।
স্বপ্নদীপের বাবা-মা এখন রানাঘাটে তাঁর মামার বাড়িতে। সঙ্গে ছোট ছেলে রত্নদীপও। এদিন যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। নেতৃত্ব স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সায়নী ঘোষ।
ব্রাত্য বসু বলেন, 'মফস্বল থেকে পড়তে আসা ছেলে, কৃতী ছেলে, শহরে এসে হয়তো খানিকটা হতভম্বভ হয়ে যাওয়া ছেলে, হস্টেলে কোনওরকমে ঠাঁই পাওয়া একটা ছেলে। বাবা ছেলেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পাঠিয়েছিলেন। কলকাতা মহানগরের একটি কৃতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করল, সেটা অকল্পনীয়, মানবিকতার বিরোধী'। তিনি জানান, মমতাদির তীক্ষ নজর আছে বিষয়টার উপর। পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার'।
মুখ্যমন্ত্রীকে 'ধন্যবাদ' জানিয়েছেন স্বপ্নদীপের বাবা। তিনি বলেন, 'তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্য, সাংসদ সবাই এসেছেন। আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিদিকে অনেক ধন্যবাদ। দিদি আমার সমস্ত খোঁজ খবর রাখছেন। দিদির কাছে কৃতজ্ঞ। দিদি যেভাবে তদন্ত চালাচ্ছেন, ৯ গ্রেফতার হয়েছে। এরা জড়িত। আমি যেরকম আশা করেছিলাম, ৯-১০ জন জড়িত থাকতে পারে, সেটাই হয়েছে। আশা করছি, শান্তিও হবে'।
এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটেশন দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ! কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে অরবিন্দ ভবনের সামনে ৩ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা, এসএফআই ও ডিএসএফের সংঘর্ষে জড়াল টিএমসিপি-র সদস্যরা। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে দুইপক্ষ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ক্যাম্পাস।
আরও পড়ুন: JU Student Death: হোক কলরবের হোতারা এখন বিদেশে: ব্রাত্য, নেতা তো এখন তৃণমূলের মুখপাত্র: সৃজন