কোথাও ঘরবন্দি নেতা, কোথাও বুথে নেই বিরোধী এজেন্ট
ভোটে অশান্তি এড়াতে কোথাও গৃহবন্দি করা হয়েছে শাসকদলের দাপুটে নেতাকে। আবার কোথাও বুথে নেই বিরোধী এজেন্ট। অভিযোগ, শাসকদলের হুমকির ভয়েই এজেন্ট তুলে নিতে বাধ্য হন বিরোধীরা। কোথাও আবার পুলিসের বারণ সত্ত্বেও পুলিসের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে।
কলকাতা : ভোটে অশান্তি এড়াতে কোথাও গৃহবন্দি করা হয়েছে শাসকদলের দাপুটে নেতাকে। আবার কোথাও বুথে নেই বিরোধী এজেন্ট। অভিযোগ, শাসকদলের হুমকির ভয়েই এজেন্ট তুলে নিতে বাধ্য হন বিরোধীরা। কোথাও আবার পুলিসের বারণ সত্ত্বেও পুলিসের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে।
নজরবন্দি নেতা
অনুব্রত মডেলেই গৃহবন্দি রয়েছেন কাশীপুরের দাপুটে নেতা। স্বপন চক্রবর্তী শাসক দলের কৌশলী ভোট ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত। তাঁকে কলকাতার অনুব্রত মণ্ডল বলা যায় । অনুব্রত ফর্মুলাতেই তাঁকে নিয়ন্ত্রিত করল নির্বাচন কমিশন। কাশীপুরের কাশীনাথ দত্ত রোডে তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, ভোটের দিনেও চার দেওয়ালেই আটকে রয়েছেন নেতা।
ভোট ম্যানেজ
বেলেঘাটার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট ম্যানেজের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গুরুদাস কলেজে ভোটারদের লাইন কন্ট্রোল করতে দেখা গেল সুশান্ত সাহা ওরফে হাবুকে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের যুব সভাপতি হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, সকাল থেকেই বুথে দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যান সুশান্ত। পুলিস বারণ করা সত্ত্বেও, ভোটারদের লাইন কন্ট্রোল করার কাজ থেকে সরে আসেননি তিনি। এমনকি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ঢুকে পড়েন বুথের ভিতরে। কলেজ বিল্ডিংয়ের দোতলাতেও অবাধে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
নেই বিরোধী এজেন্ট
পাশাপাশি দুটি স্কুল। একটির বুথেও নেই কোনও বিরোধী এজেন্ট। এমনই ছবি ধরা পড়ল বেলেঘাটার দেশবন্ধু বয়েজ ও গার্লস স্কুল। সকাল থেকেই বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি দেখলেন দুটি স্কুলের বুথে শাসক দলের এজেন্ট ছাড়া কোনও এজেন্ট নেই।