বিলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সন্দিহান শাসকদলই
রাজ্যে ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থাগুলির রমরমা ঠেকাতে আগামিকাল নয়া বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, বিলের সাংবিধানিক বৈধতা সরকার নিজেই কী পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয়?
রাজ্যে ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থাগুলির রমরমা ঠেকাতে আগামিকাল নয়া বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, বিলের সাংবিধানিক বৈধতা সরকার নিজেই কী পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয়?
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে যে বিল আনা হচ্ছে তাতে কী বিচার করা যাবে সারদা কেলেঙ্কারির? পরিষদীয় মন্ত্রী দাবি হ্যাঁ যাবে। এরপর তিনি যা বললেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপবর্ণ। বিল পেশের কেন এমল আশঙ্কা পর্ষদীয় মন্ত্রী গলায়? সত্যিই কী এই বিলে সারদা গোষ্ঠীকে শাসেতির ক্ষেত্রে কোনও আইনগত জটিলতা রয়েছে? এমনটা অন্তত মনে করছেন হালিমের। তিনি জানিয়েছিলেন, "এই বিলে কিছুই হবে না।" কেন একথা বললেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ? কারণ আইনজ্ঞ মহল মনে করছে সংবিধানের ধারার সঙ্গে কোথাও একটা সমস্যা।
নতুন বিলের ২২-এর (২) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন তৈরি হওয়ার আগেই যদি কোনও কমিশন গঠিত হয়ে থাকে এবং ওই কমিশন কোনও আর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে থাকে, তাহলে সেই কমিশন আর্থিক সংস্থাটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ করলে, নতুন আইনের বলে বাজেয়াপ্ত করা যাবে অভিযুক্ত সংস্থার সমস্ত সম্পত্তি।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, নতুন বিলে ২২-এর (২) ধারাটি সংবিধানের ২০-র এক অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ভারতীয় সংবিধান ২০-র ১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজকের কোনও অপরাধের বিচার আগামিকাল তৈরি কোনও আইনে হতে পারে না।
সোমবার ভিনভর দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। আর আনোচনা যত এগিয়েছে, আশঙ্কা ততটাই ঘনীভূত হয়েছে স্পষ্ট হয়ে গেল পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, "নতুন বিলে প্রাক্তন শাসক দলের অনেক নথি বেড়িয়ে আসবে।" সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষের টাকা ফেরৎ দিতে রাজ্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী।