শুভ্রাংশু ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি তৃণমূলের
শুভ্রাংশু ইস্যুতে ধীরে চলোর পথেই হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বীজপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না দল। বুধবার ফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারপরই হয়তো শুভ্রাংশু ইস্যুতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, জল্পনা তৃণমূলের অন্দরে।
ব্যুরো: শুভ্রাংশু ইস্যুতে ধীরে চলোর পথেই হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বীজপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না দল। বুধবার ফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারপরই হয়তো শুভ্রাংশু ইস্যুতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, জল্পনা তৃণমূলের অন্দরে।
ফের ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। সোমবার বিধানসবায় বসেছিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তারআগে মুকুল রায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনে একপ্রস্থ কথাও হয়। কি কথা কেউ জানে না। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকেও কিন্তু দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন কমিটির সদস্যরা। একাংশের দাবি এখনই সাসপেন্ড করা হোক শুভ্রাংশুকে। অন্য অংশের দাবি শুভ্রাংশুকে সাসপেন্ড করতে হলে এখনও পর্যন্ত যাঁরা যাঁরা দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন সাসপেন্ড করতে হবে সবাইকে।
বৈঠকে যাঁরা শুভ্রাংশুর পাশে দাঁড়ান তৃণমূল শিবিরে তাঁরা কিন্তু, মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে থমকান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার পর্যন্ত কেস পেন্ডিং।
কিন্তু, বুধবারেও কি কিছু হবে? যেমনটা আগে করা যায়নি সুমন কিংবা শিখা মিত্রের ক্ষেত্রে।
এদিকে, আচমকাই খবর রটে যায় মুকুল রায় কলকাতায় ফিরে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাবেন। এই খবরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। সক্রিয় হয়ে ওঠে তৃণমূল নেতাদের ফোন। তবে, বৈঠক হবে না হবে না এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। তাহলে কি আবার কোথাও একটু হলেও গলছে বরফ?
দলের কট্টরপন্থীদের দাবি একেবারেই নয়। মুকুল অনুগামী শিবির এক্কেবারে চুপ। দিল্লিতে এদিন মুকুল রায় বিভিন্ন মহলে কথা বলেছেন বলে খবর। সংসদে তৃণমূলের সাংসদরা তাঁকে এড়িয়ে গেছেন জানা গেছে এমনটাও। তবে, যেহেতু নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার সঙ্গে মুকুল রায়ের কুড়ি বছরের সম্পর্ক তাই আর কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমনটা ভাবছেন না কেউই।