প্রভাব খাটিয়ে বারবার আইনের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দাবি চন্দ্রিমার
তৃণমূলের নিশানায় এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন- গোটা রাজ্যে তোলাবাজির রমরমা চলছে। ডুমুরজলার জনসভায় এদিন ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখার সময় সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Bannerjee) আক্রমণ করেছিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আক্রমণের পাল্টা দিতে ছাড়ল না তৃণমূলও। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তিনি বললেন, ''পরিকল্পিতভাবে গুজরাতে এনকাউন্টার হয়েছে। গুজরাত দাঙ্গার নৃশংসতা সারা বিশ্ব দেখেছে। প্রভাব খাটিয়ে বারবার আইনের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।''
এদিন চন্দ্রিমা আরও বলেন, ''২০১০ সালে জেলে যেতে হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তুলসীরাম প্রজাপতির এনকাউন্টার মামলাতেও আজকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম জড়িয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই হয়েছিল এনকাউন্টার। কিন্তু বারবার নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি পার পেয়ে গিয়েছেন। বিজেপি সরকার দাবি করে, দেশে জঙ্গি দমনে তারা নজির গড়েছে। আসলে সেই দাবি পুরো মিথ্যে। জম্মু-কাশ্মীরে নাগরিক হত্যা বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। মোট সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে ১৭৬ শতাংশ। পর্যটকদের হত্যাও আগের থেকে বেড়েছে। উপত্যকায় জঙ্গি দমনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকার। দীর্ঘদিন অসাংবিধানিকভাবে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে। দিল্লির কৃষক আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।''
আরও পড়ুন- দলবদলে উৎসাহ দিতে চাটার্ড প্লেন একটি নতুন সংযোজন: Parth Chatterjee
চন্দ্রিমা এদিন দাবি করেছেন, ''স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক প্রকল্প ও পরিকল্পনার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে সেগুলির রূপায়ণ হয় না। তিনি এদিন বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আপনারা এত কথা শুনেছেন। আজ পর্যন্ত কোনও বিধি তৈরি হয়নি। বিভিন্ন ক্যাম্পে মানুষ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী কাজ করছেন সবাই দেখছে। বিজেপি পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করেছে। জামিয়া-মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বিজেপির গুণ্ডাদের আক্রমণ হয়েছে। দিল্লি পুলিস কিছু করেনি। দিল্লির দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছে। বহু মানুষের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রী সরকার কিছুই করেনি। সেই সময় ট্রাম্পকে অভর্থনার পরিকল্পনা করছিল সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। ট্রাম্পের বিনোদন কী করে হবে, তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ৮০০ কোটি টাকা ঘাটতি সিআরপিএফে। রেশনের অর্থে ঘাটতি। ছমাসের রেশন বকেয়া ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করছিলেন! এই সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে দেশ কতটা সুরক্ষিত, তা দেশের মানুষই ঠিক করুক।''