পঞ্চায়েত জটের দিনভর---
পঞ্চায়েত ভোটের দফা এবং জেলাবিন্যাস নিয়ে জট ছিল। কিন্তু সে জট অনেকটাই কেটে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করার প্রশ্নে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। সংঘাত চরমে পৌঁছনোয় বৃহস্পতিবারও জারি হল না বিজ্ঞপ্তি।
পঞ্চায়েত ভোটের দফা এবং জেলাবিন্যাস নিয়ে জট ছিল। কিন্তু সে জট অনেকটাই কেটে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করার প্রশ্নে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। সংঘাত চরমে পৌঁছনোয় বৃহস্পতিবারও জারি হল না বিজ্ঞপ্তি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজ সারাদিন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী কী ঘটল---
বেলা ১২টা
রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে দেখা করতে গেলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সাংবাদিকদের এড়িয়ে সোজা চলে যান দফতরে।
দুপুর ১:৩০
দফতরে পৌঁছে মীরা পাণ্ডে জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
বিকেল ৩টে
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকারকে ফের চিঠি দেবে কমিশন। কারণ, কমিশনের বক্তব্য, রাজ্যের দেওয়া আগের চিঠিতে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিস্তারিত বিবরণ না থাকায় বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের তরফে লেখা হয়েছে, `ইলেকশন প্রেমিস`এর মধ্যে সশস্ত্র পুলিস রাখা হবে।
কমিশনের প্রশ্ন--- `ইলেকশন প্রেমিসেস` বলতে রাজ্য ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে?
বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া বাড়িগুলোয় কি ইলেকশন প্রেমিসেস?
যদি তা-ই হয়, তাহলে একটি ইলেকশন প্রেমিসেসে তিন-চারটে করে বুথ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতি বুথের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে?
এরকম অনেক ভোটকেন্দ্র আছে, সেখানে কোনও বাউন্ডারির ব্যবস্থা নেই। তাহলে সেগুলোও কি `ইলেকশন প্রেমিস`?
সেক্ষেত্রে ভোট দান কেন্দ্র থেকে কত দূরে এবং কত জন সশস্ত্র পুলিস রাখা হবে?
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন তোলা, মনোনয়ন জমা দেওয়া, গণনা ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলি সুষ্ঠুভানে শেষ করতে প্রয়োজন ৩০০ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবং ভোটের দিনগুলিতে প্রয়োজন আরও ৮০০ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু কমিশনকে দেওয়া আগের চিঠিতে রাজ্য জানায়, মনোনয়ন তোলা, মনোনয়ন জমা দেওয়া, গণনা ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলি শান্তিপূর্ণভাবে করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু কী ব্যবস্থা নেবে সরকার? চিঠি দিয়ে তা জানতে চেয়েছে কমিশন।
কার্ড-বিকেল ৪:৩০
মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ও। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
কার্ড-বিকেল- ৫.৩০টা
সাংবাদিক সম্মেলন করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়, দুজনই জানিয়ে দেন, আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারির পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারে কমিশন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কাল ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল৷ কাল দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা৷ রাজ্যপালের মধ্যস্থতার কথা মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী৷