মৃতদেহের চোখ উধাওকাণ্ডে আরজি কর হাসপাতালে তৈরি হল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। 

Updated By: Aug 20, 2019, 10:39 AM IST
মৃতদেহের চোখ উধাওকাণ্ডে আরজি কর হাসপাতালে তৈরি হল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদন:  মৃতদেহের চোখ ‘চুরি’কাণ্ডে নড়েচড়ে বসলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। রাত পার হতেই মর্গ থেকে মৃতদেহের চোখ উধাওকাণ্ডে তৈরি হল তদন্ত কমিটি। তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি মিললে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

 

অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল বলেন,  "তদন্ত কমিটি করেছি। কীভাবে চোখ উধাও হল, কার গাফিলতি রয়েছে,  ইঁদুর খুবলেছে কিনা সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘’ তবে হাসপাতালে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য আছে বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। স্টিলের পাত আলমারি ফুটো করে দিচ্ছে ইঁদুর। সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে আরজি কর হাসপাতালে। এক মৃতদেহের শরীর থেকে চোখ উধাও হয়ে যায়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মর্গের কর্মীদের ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

আরজি কর হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ বন্দির খোঁজ মিলল বেলঘরিয়া ব্রিজে

রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান পাইকপাড়ার বাসিন্দা শম্ভুনাথ দাস। এরপর আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ১৮ তারিখ দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ৬৯ বছরের শম্ভুনাথের। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। সোমবার দেহ নিতে এসে পরিবারের লোকেরা দেখেন, শম্ভুনাথবাবুর দুটি চোখই নেই! খোবলানো। কারণ জানতে চাইলে, মর্গের কর্মীরা জানান ইঁদুর চোখ খুবলে নিয়েছে। দেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবার। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। মর্গের সামনেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এমনকী টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।   রোগীর চোখ উধাও তা লিখিতভাবে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নকল চোখ বসিয়ে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

.