পশ্চিমবঙ্গের তিনটি শহরে চালু হতে চলেছে সেফ সিটি প্রকল্প
জঙ্গি আক্রমণ, নাশকতা ও নারী নির্যাতন ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের তিন শহরে চালু হতে চলেছে সেফ সিটি প্রকল্পের কাজ। একশো কোটি টাকার এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শক্তিশালী ক্যামেরার সাহায্যে আকাশে নজরদারি চালানো যাবে। কলকাতা, হাওড়া ও নিউটাউনে বসবে ফেসিয়াল স্ক্যান মেকানিজমের সুবিধাযুক্ত এক হাজারটি ক্যামেরা।
কলকাতা: জঙ্গি আক্রমণ, নাশকতা ও নারী নির্যাতন ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের তিন শহরে চালু হতে চলেছে সেফ সিটি প্রকল্পের কাজ। একশো কোটি টাকার এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শক্তিশালী ক্যামেরার সাহায্যে আকাশে নজরদারি চালানো যাবে। কলকাতা, হাওড়া ও নিউটাউনে বসবে ফেসিয়াল স্ক্যান মেকানিজমের সুবিধাযুক্ত এক হাজারটি ক্যামেরা।
দেরিতে হলেও শেষমেশ কলকাতা সহ রাজ্যের তিন শহরে চালু হতে চলেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেফ সিটি প্রকল্পের কাজ। গত বছর দেশের সাতটি শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে এই প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বেছে নেওয়া হয় কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও আমেদাবাদকে। বাজেট ধরা হয় ৪৩২ কোটি টাকা. সেফ সিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৬০ শতাংশ খরচ বহন করবে কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করতে হবে রাজ্যকে.
কেন্দ্রের ঘোষণার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও, এরাজ্যে এতদিন সেফ সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। এবার কলকাতা, নিউটাউন ও হাওড়া শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। ৩টি শহরে মোট ১০০০টি শক্তিশালী ক্যামেরা বসানো হবে . ক্যামেরায় থাকবে ফেসিয়াল স্ক্যান মেকানিজমের সুবিধা.
ফেসিয়াল স্ক্যান মেকানিজমের সুবিধাযুক্ত ক্যামেরায় আশপাশের ছবি ছাড়াও আকাশে নজরদারি চালানো যাবে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা ভিড়, জটলার মধ্যেও সন্দেহভাজনের ছবি তোলা যাবে। স্পষ্ট বোঝা যাবে তার মুখ । খুব কম আলোয় দুরন্ত গতিতে ছুটে যাওয়া গাড়ির নম্বর প্লেট নোট করা যাবে ।
সাধারণ সিসিটিভি ক্যামেরায় সাধারণত ওপরের দিকের ছবি ভাল করে পাওয়া যায় না। কিন্তু সেফ সিটি প্রকল্পে যে সব ক্যামেরা বসানো হবে, তাতে বিভিন্ন ঘটনার পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে। তিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি ভবন, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, হাসপাতাল, শপিংমল, মেট্রো স্টেশন, শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন এবং ব্যস্ত তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে শক্তিশালী ক্যামেরা বসবে। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, সেফ সিটি প্রকল্প চালু হলে, ডায়াল হানড্রেড সিস্টেম উন্নত হবে। সুবিধা বাড়বে কমিউনিকেশন সিস্টেমে । জাতীয় সড়কে নজরদারির কাজ সহজ হবে।