রাজ্যের সিদ্ধান্ত মানতে হবে কমিশনকে, এটাই আইন: সুব্রত
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। এটাই আইন। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গেলে নির্বাচন পর্বকে যেভাবে ভাগ করা দরকার, সেভাবেই ভাগ করা হয়েছে। এর পিছনে কোনও সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। এটাই আইন। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গেলে নির্বাচন পর্বকে যেভাবে ভাগ করা দরকার, সেভাবেই ভাগ করা হয়েছে। এর পিছনে কোনও সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েতমন্ত্রীর আজকের মন্তব্যে সরকার ও কমিশনের মধ্যে সংঘাতের পথ আরও প্রশস্ত হল।
এই প্রসঙ্গে এদিনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন কমিশনকে অগ্রাহ্য করে পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণা সুরকারের `কাপুরুষোচিত` সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, এক তরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর আগামী সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেই কমিশন তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ চূড়ান্ত করবে। মূলত তিনটি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। রাজ্যের কথা মেনে দু`দফায় ভোটে রাজি হয়ে যেতে পারে নির্বাচন কমিশন। আবার সিদ্ধান্ত না মেনে রাজ্যকে ফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বলতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কোনও রফাসূত্র না বেরোলে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে নির্বাচন কমিশন।
গতকালই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। সেখানে কমিশন যে যে প্রস্তাব রাজ্যকে পাঠায়, তার একটিও মানা হয়নি। ২৬ এবং ৩০ এপ্রিল দুদফায় নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুক্রবার কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। বুথ পাহারার জন্য ভিনরাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিস আনা হলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।