Beleghata | TMC Infighting: রবিবার ধুন্ধুমার! তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলেঘাটা, বিশাল পুলিসবাহিনী এলাকায়
ঘটনার পরেই তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। পার্টি অফিসের সামনে থাকা রাজু নস্করের গাড়ির কাঁচও ইট ছুঁড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেলেঘাটায় আলোছায়া সিনেমা হলের ঠিক উলটো দিকে ইস্ট কুলিয়া রোডে রয়ছ রাজু নস্করের অফিস। সেই অফিসেই ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেলেঘাতায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় এমনও অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে গুলিও চলেছে এলাকায়। জেলে পাড়ার বাসিন্দা, টিংকা দাস নামে এক যুবকের গুলি লেগেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে ডিভাইন নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। রাজু নস্করের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিসের তরফে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে বলে, জানানো হয়েনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধায়ক পরেশ পাল।
বেলেঘাটায় আলোছায়া সিনেমা হলের ঠিক উলটো দিকে ইস্ট কুলিয়া রোডে রয়ছ রাজু নস্করের অফিস। সেই অফিসেই ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। অফিসের বাইরের দিকের মূল জানলার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অফিসের সামনে ইট পরে থাক্তেও দেখা গিয়েছে। পাশপাশি অফিসের বাইরে থাকা গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। অফিসের বাইরে থাকা সিসিটিভিতে এই ঘটনা ধরা পড়েছে এবং পুলিস সেই ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার পরেই তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। পার্টি অফিসের সামনে থাকা রাজু নস্করের গাড়ির কাঁচও ইট ছুঁড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজু নস্কর জানিয়েছেন, ‘গত ছয় সাত মাস ধরে একটা গণ্ডগোল চলছে। ২৭ থেকে ২৮টি ডায়রি হয়েছে। কিন্তু তাঁদেরকে আমি চিনি না। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা নিয়ে ঘোরে। আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। যারা তৃণমূলের হয়ে বিধানসভা লোকসভা নির্বাচন করেনি তাঁরা হঠাৎ করে কী করে তৃণমূলের লোক হল আমি জানিনা’।
অন্যদিকে রাজু নস্কর গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে অন্য তরফ থেকে। এই বিষয়ে রাজু নস্কর আরও বলেন, ‘এখানে কোনও গুলি চালানো হয়নি। এখানে এসে ভাংচুর করে গিয়েছে’। গুলি চালানোর অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজু নস্কর।
এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটা সত্যি। অস্বীকার করার কিছুই নেই। তাঁরা প্রত্যেকেই ভটের সময় তৃণমূলের হয়ে করে। দুই পক্ষই তৃণমূল। আমি তো জানতাম না। আমাকে সুদীপ দা জানান ঘটনার কথা। আমি এসেছি জানতে সমস্যা আর না বাড়ে’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘থানার বড় বাবুর উপরে আমার আস্থা আছে। উনি যা করার করবেন। তারপরে অনেক রকম পরিস্থিতি হয় পুলিসের। চেষ্টা করলেও করতে পারেনা। আমি বড়বাবু কে বলেছি দুই পক্ষকেই দেখুন। যেন গণ্ডগোলটা না বাড়ে’।
ঘটনাস্থলে রয়েছে বেলেঘাটা থানার পুলিস। সকলের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। যদিও গুলি চালানোর ঘটনার কথা তাঁরা মানতে চাননি। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পক্ষের মধ্যেই গণ্ডগোল হয়েছে।
রাজু নস্করের অভিযোগ, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা সবাই দুষ্কৃতী। রাজু নস্কর নিজেও গুলি চালিয়েছে বলে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর পরিপেক্ষিতে রাজু নস্করের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ।
ঠিক কি কারণে এই ঘটনা? পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কার্তিক সরকার নামে এক যুবককে বেধরক মারধর করে রাজু নস্করের দলবল এমনটাই অভিযোগ।
তার বদলা নিতে, রবিবার সাড়ে ১১টা নাগাদ রণবীর সাহা দলবল নিয়ে, রাজু নস্করের অফিসে চড়াও হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর অফিসে। এমনকি বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
সেই সময়ে অভিযোগ ওঠে রাজু নস্কর, রনবীর সাহাকে লক্ষ করে চার রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে একটি গুলি গিয়ে লাগে টিনকা দাস নামে এক যুবকের। বর্তমানে সেই যুবক চিকিৎসাধীন।
রনবীর সাহা জানান, তাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিল রাজু নস্কর। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেটা গিয়ে লাগে টিনকার গায়ে। তবে রনবীর সাহা ও অলোক দাস, তাঁরা অবশ্য জানিয়েছেন, কিছুটা ভাঙচুর হয়েছে।