হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল‌! দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত ছেলেকে নিয়ে লকডাউনের বিপন্নতা দেখল অসহায় বাবা-মা

মহাজাতি সদনের সামনে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়ে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকার এক ক্লাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে।

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Aug 8, 2020, 02:07 PM IST
হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল‌! দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত ছেলেকে নিয়ে লকডাউনের বিপন্নতা দেখল অসহায় বাবা-মা
ছবি- অয়ন ঘোষাল

নিজস্ব প্রতিবেদন:  লকডাউনের ফাঁস! দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরল ১৪ বছরের কিশোর‌! অসহায় বাবা-মায়ের হাহাকার আরও একবার প্রকট করল শহরের বিপন্ন চিকিত্সা ব্যবস্থা‌!

শুক্রবার রাত আটটায় বাড়ির লোকের জন্য দুধ কিনতে বেরিয়ে বেপরোয়া মোটর বাইকের সামনে পড়ে যায় গিরীশ পার্ক থানার রাম মন্দির এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের কার্তিক সর্দার। মহাজাতি সদনের সামনে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়ে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকার এক ক্লাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে।

অভিযোগ, সেখানে কার্যত বিনা চিকিত্সায় তাকে ভোর চারটে পর্যন্ত ফেলে রাখা হয়। এরপর অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেয় এনআরএস। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাবস্থাপনায় হাসপাতাল পাঠানোর কোনও নিয়মও মানা হয়নি। বাড়ি আনা হয় কার্তিককে। কেটে যায় আরও চার ঘণ্টা। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে কার্তিক। তারপর জ্ঞান হারায়। সকাল আটটায় হাসপাতালের কাগজ নিয়ে ফের শুরু হয় পরিবারের লড়াই। লকডাউনে বহু চেষ্টা করেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স । কার্তিককে এলাকার এক ভ্যান চালকের সাহায্যে সাইকেল ভ্যানে করে শুরু হয় হাসপাতাল যাত্রা।

আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজের চারতলার কার্নিশে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন করোনা আক্রান্ত রোগী! ভয়ে কাঁপলেন কর্মীরা

সাড়ে নটায় ভ্যান গিরিশপার্ক থেকে আরজিকর পৌঁছয় । লকডাউনের শহর সাক্ষী থাকে এক অমানবিক দৃশ্যের। হাসপাতালে পৌঁছেও স্বস্তি নেই। আবারও অপেক্ষা। সাড়ে ১১টায় আরজিকর-এর তরমা কেয়ার ইউনিটে অবশেষে ঠাঁই হয় তার।

.