“নতুন নীতিশাস্ত্র তৈরি করার আপনি কে?”, তৃণমূলের মুখপত্রে তোপ রাজ্যপালকে
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল, এই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় সম্পাদকীয়তে কটাক্ষ করা হল রাজ্যপালকে। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ধন ধান্য পুষ্পে ভরা গানটির কয়েকটি লাইন বদলে সেখানে অন্য শব্দবন্ধ বসিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে তাকে। সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছে “নতুন নীতিতশাস্ত্র তৈরি করার আপনি কে?”
সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে যে আগে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে জরিয়েছেন রাজ্যপালরা। কিন্তু তারা সাংবিধানিক গণ্ডি লঙ্ঘন করেননি। বর্তমান রাজ্যপাল মনে করেন, তিনিই বোধ হয় রাজ্যের শেষ কথা।
গত ২৫ জানুয়ারি, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল, এই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই প্রশাসনিক স্তর এবং তৃণমূলের তরফেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখানর ঘটনা চলছে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর সাংবিধানিক অধিকার বারবার ছারিয়ে যাচ্ছেন। বিধানসভার মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলেছেন তা কার্যত সংবিধান বিরোধী।
রাজ্যপাল পদটি আলঙ্কারিক পদ। সংবিধানে নির্দিষ্ট করে তাঁর কাজ লিখে দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজ্যপালই সাধারণত রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়াননা। কিন্তু এইক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে রাজ্যপাল মনে করছেন তিনিই রাজ্যের সর্বেসর্বা এবং বারবার করে তিনই রাজ্যসরকারকে আক্রমণ করছেন। সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি কাজ করছেন।
জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে নতুন করে নীতিশাস্ত্র তৈরি করার তিনি কে। সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারায় তাঁর যে কাজ তা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে এবং রাজ্য সরকার যা বলে, রাজ্যপাল সাধারণত সেইভাবেই কাজ করেন। জনপ্রতিনিধিরাই আসলে শেষ কথা এবং সংবিধানেও সেটাই বলা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল বার বার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছেন এবং তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ জানিয়েছেন, “রাজ্যপাল আসেন রাজ্যের সংবিধানের প্রধান হয়ে। উপর থেকে তাঁর দেখার কথা, রাজ্যে আইনের শাসন চলছে কিনা। যখন রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় রাজ্য। আমার নিজের ধারনা, রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার যেন নিজেদের সংঘাত মিটিয়ে সহযোগিতার পথে রাজ্যের উন্নয়নের দিকে নজর দেন।”