যে সিরিঞ্জটা আপনার শরীরে ফোটানো হল সেটা আদৌ নতুন নয়!
সাধারণ রক্ত পরীক্ষা হোক বা টিটেনাস ইঞ্জেকশন, হরদমই আমাদের শরীরের ফোটানো হচ্ছে সিরিঞ্জ। কিন্তু তারপর কী হচ্ছে সেই সিরিঞ্জের? নিয়ম মেনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি? নাকি আবার ফিরে আসছে ব্যবহার জন্য? কী চলছে এ শহরে?
ওয়েব ডেস্ক : সাধারণ রক্ত পরীক্ষা হোক বা টিটেনাস ইঞ্জেকশন, হরদমই আমাদের শরীরের ফোটানো হচ্ছে সিরিঞ্জ। কিন্তু তারপর কী হচ্ছে সেই সিরিঞ্জের? নিয়ম মেনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি? নাকি আবার ফিরে আসছে ব্যবহার জন্য? কী চলছে এ শহরে?
রুটিন ব্লাড টেস্ট করাচ্ছেন। পাড়ার ডায়গোনেস্টিক সেন্টার থেকে বাড়ি এসে রক্ত নিয়ে যাচ্ছে। তারপর? সেগুলো কি আদৌ ফেলে দেওয়া হচ্ছে! উত্তরটা হল, না। স্তূপীকৃত হয়ে জমছে। চমকাবেন না, এই সিরিঞ্জই ফের বিকোচ্ছে। শুধু সিরিঞ্জই নয়, হাসপাতালের অন্য সব বর্জ্যও জঞ্জালের সঙ্গে মিশে চলে আসছে বাইপাসের ধারের নির্দিষ্ট এলাকায়। সেখানেই চলছে ঝাড়াই বাছাই।
শুধু কী ব্যবহৃত সিরিঞ্জ? পড়ে রয়েছে রক্তের ব্যাগ। ব্যবহার করা ক্যাথিটার। রক্ত মাখা তুলো, গজ। এমনকী এই জঞ্জালের স্তূপে রয়েছে হাসপাতালের বর্জ্য ভর্তি হলুদ ব্যাগও। যে ব্যাগ সরাসরি মাটির গভীরে পুঁতে দেওয়ার কথা।
কেটে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে সিরিঞ্জ, স্যালাইনের পাইপ। তার পর চলছে রিসাইক্লিংয়ের তোড়জোড়। চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা কোনও জিনিস এভাবে খোলা জায়গায় ফেলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। জানেন কি, এর থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশে? তবে নিয়মের তোয়াক্কা আর কে করে! নালা-খাল দিয়ে এই সব বর্জ্যের জল ছড়িয়ে পড়ছে শহর জুড়ে। রোগের বিষ থাবা বসাচ্ছে আপনার আমার শরীরে।