থ্যালাসেমিয়া সেন্টার হবে বরো অফিস, বিপন্ন ৪১৮টি প্রাণ
থ্যালাসেমিয়া সেন্টারে হবে বরো অফিস। হাওড়া পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অস্তিত্বের সঙ্কটে পঞ্চাননতলার থ্যালাসেমিয়া ফোরাম। বিপন্ন চারশো আঠারোজন দুঃস্থ শিশুর জীবন। একটি রিপোর্ট।
থ্যালাসেমিয়া সেন্টারে হবে বরো অফিস। হাওড়া পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অস্তিত্বের সঙ্কটে পঞ্চাননতলার থ্যালাসেমিয়া ফোরাম। বিপন্ন চারশো আঠারোজন দুঃস্থ শিশুর জীবন। একটি রিপোর্ট।
সৈকত চক্রবর্তী, রুবি খাঁ, শ্রেয়া, পল্লবী, সমীর কিংবা স্নেহা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশুদের যোগসূত্র একটাই। থ্যালাসেমিয়া। বিপন্ন জীবনে, তাদের আশ্রয় পঞ্চাননতলার এই থ্যালাসেমিয়া সেন্টার। দুহাজার চারে স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই সেন্টারে, গরিব শিশুদের রক্ত প্রতিস্থাপন করা হয়। মাত্র একশো পঁচাত্তর টাকায়। সঙ্গে খাওয়া দাওয়া। কিন্তু এই নিরাপদ আশ্রয়ও হাতছাড়া হওয়ার মুখে। এই বাড়ির দোতলায় বরো অফিস গড়ার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা।
পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অস্তিত্বের সঙ্কটে থ্যালাসেমিয়া সেন্টার। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সুরাহার খোঁজে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন শিশুর বাবা-মায়েরা। থ্যালাসেমিয়া সেন্টারেই হবে বরো অফিস। অবস্থানে অনড় হাওড়া পুরসভা। কী হবে চারশো আঠারো জন শিশুর ভবিষ্যত। উত্তর জানে না কেউই।