শিক্ষক নিয়োগের মেরিট লিস্ট অ্যানালিসিস হয়েছিল তৃণমূল ভবনে। নির্দেশ যায়, কার নম্বর কীভাবে বাড়াতে হবে। অভিযোগ, সব কাজ হয়েছে মুকুল রায়ের নির্দেশে।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট নিয়ে নানা বেনিয়মের অভিযোগ। জল গড়িয়েছে আদালতেও। কতটা স্বচ্ছ টেট পরীক্ষা? চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশন। পাস করলেও বাতিল ইন্টারভিউ। টেট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন কুলপির তৃণমূল নেত্রী মমতা মণ্ডল। মামলা তুলতে চাপ দলেরই। অভিযোগ মমতা ও তাঁর স্বামীর।

Updated By: Jan 25, 2014, 06:19 PM IST

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট নিয়ে নানা বেনিয়মের অভিযোগ। জল গড়িয়েছে আদালতেও। কতটা স্বচ্ছ টেট পরীক্ষা? চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশন। পাস করলেও বাতিল ইন্টারভিউ। টেট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন কুলপির তৃণমূল নেত্রী মমতা মণ্ডল। মামলা তুলতে চাপ দলেরই। অভিযোগ মমতা ও তাঁর স্বামীর।

মমতা মণ্ডলের ইন্টারভিউ বাতিল। কাঠগড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। মমতার স্বামী প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর তীব্র বাদানুবাদ।

তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল মামলা করায় ক্ষুব্ধ হন সুরঞ্জনা চক্রবর্তী। দলই নিয়োগের বিষয় দেখছে। তাহলে মামলা কেন? প্রশ্ন সুরঞ্জনার। দলের প্রথম সারির নেতারা কি জানতেন এখবর? চোখ রাখুন চব্বিশ ঘণ্টায়।

মমতা মণ্ডলের স্বামী প্রদীপ মণ্ডল গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর অফিসে। তাঁর কথায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। সুরঞ্জনা চক্রবর্তী বলেই দিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কীভাবে কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের সুপারিশ।

এখানেই শেষ নয়। আরও মারাত্মক তথ্য ফাঁস হল সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর কথায়। তিনি বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মেরিট লিস্ট অ্যানালিসিস হয়েছিল তৃণমূল ভবনে। তারপর ভবন থেকে নির্দেশ যায়, কার নম্বর কীভাবে বাড়াতে হবে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবছরের টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং অনিয়মের খতিয়ানটাও। আবেদনপত্র জমা পড়ার পর থেকেই প্রাইমারি বোর্ডের তরফে বলা হচ্ছিল এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় পঁয়তাল্লিশ লক্ষ। কিন্তু পরীক্ষার ফলপ্রকাশের দিন বোর্ড কর্তারা বলেন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নাকি প্রায় উনিশ লক্ষ। পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ আদালতে গড়ালে বোর্ডের তরফে সিঙ্গল বেঞ্চের জন্য তৈরি করা হলফনামায় বোর্ডের দাবি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ত্রিশ লক্ষ। পাশ করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আঠারো হাজার। বোর্ডের তরফে দাবি করা হয় মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় এক শতাংশ পাশ করেছে পরীক্ষায়। তবে দেখা যাচ্ছে হলফনামার সংখ্যার নিরিখে সেখানেও রয়েছে গলদ। অন্যদিকে এবার প্রাইমারিতে ফাঁকা পদের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার। সেক্ষেত্রে যোগ্য পরীক্ষার্থীর অভাবেই টেট পরীক্ষার ফলের এই দুর্দশা বলে দাবি বোর্ড কর্তাদের।

একী মারাত্মক তথ্য বেরলো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সনের কথায়! তিনি বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের কথা অনুযায়ী তিনি সব কিছু করেছেন। অক্ষরে অক্ষরে দাদার নির্দেশ পালন করেছেন।

Tags:
.