মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, আলুর দাম কমাতে নির্দেশ মমতার
খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দর চোদ্দো টাকায় নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন তিনি। জিনিসের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, পাইকারি ও খুচরো বাজারে দামের ফারাক কমাতে টাস্ক ফোর্সকে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। রাজ্যে কৃষি উত্পাদন বাড়ানোর জন্যও মন্ত্রী-আমলাদের নির্দেশ দেন মমতা।
ওয়েব ডেস্ক: খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দর চোদ্দো টাকায় নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন তিনি। জিনিসের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, পাইকারি ও খুচরো বাজারে দামের ফারাক কমাতে টাস্ক ফোর্সকে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। রাজ্যে কৃষি উত্পাদন বাড়ানোর জন্যও মন্ত্রী-আমলাদের নির্দেশ দেন মমতা।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বুধবার বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী-আমলাদের নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ১৪ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে। সরকারি উদ্যোগে ১৪ টাকা দরে জ্যোতি আলু বিক্রির জন্য বাড়াতে হবে সুফল বাংলার স্টল"।
আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে রাজ্যে ডাল, পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কার উত্পাদন বাড়াতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে কৃষিপণ্যের যোগান যথেষ্ট কিনা তা ১৫ দিন অন্তর খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে দাম বেঁধে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে দামের ফারাক যাতে মাত্রা না ছাড়ায় তা দেখার জন্য টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হিমঘরের সংখ্যা বাড়ানো, অসাধু হিমঘর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কার যোগান চাহিদার তুলনায় কম কেন? বৈঠকে মন্ত্রী-আমলারা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, প্রাকৃতিক কারণে কম হচ্ছে উত্পাদন। ফলন কম হওয়ায় কর্ণাটক থেকে আসছে না টম্যাটো। এ সব শুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, এ রাজ্যে যাতে সারাবছর টম্যাটো চাষ হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, কোনও অজুহাত শুনবেন না। প্রাকৃতিক কারণের অজুহাত দিয়ে কম উত্পাদনের কথা বলা যাবে না। যাতে চাহিদা অনুযায়ী রাজ্যে কৃষিপণ্যের উত্পাদন হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য তৈরি করতে হবে আগামী পাঁচ বছরের অ্যাকশন প্ল্যান।
উত্পাদন বাড়াতে কৃষি, উদ্যানপালন, সেচ, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, মত্স্য দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।