আপাত স্বস্তিতে তাপস পাল, উস্কানিমূলক মন্তব্যের রায় ১৩ অগাস্ট
আপাতত স্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। উস্কানিমূলক মন্তব্য জেরে মামলায় তেরোই অগাস্ট রায় দেবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে। অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে চোদ্দ তারিখ পর্যন্ত এফআইআর করতে পারবে না পুলিস। উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ২৩ শে জুলাই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। ২৮ শে জুলাই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিসকে এফআইআর দায়ের করা নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা: আপাতত স্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। উস্কানিমূলক মন্তব্য জেরে মামলায় তেরোই অগাস্ট রায় দেবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে। অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে চোদ্দ তারিখ পর্যন্ত এফআইআর করতে পারবে না পুলিস। উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ২৩ শে জুলাই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। ২৮ শে জুলাই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিসকে এফআইআর দায়ের করা নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একদিন পরই বিচাপরতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য। আপিল করেন তাপস পালও।শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শেষ হল। আগামী তেরোই অগাষ্ট মামলার রায় ঘোষণা।
গততিনদিনের শুনানিতে বার বার উঠে এসেছে একটাই প্রশ্ন।তাপস পালের বক্তব্য কি শাস্তিযোগ্য? সিঙ্গল বেঞ্চের এই প্রশ্নে বার বার সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সরকারি আইনজীবী। তদন্ত শুরু হয়নি কেন এই বিষয়টি বার বার এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির শেষদিন সরকারী আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয় পুলিস তদন্ত শুরু করলেও সহযোগিতার অভাবে শেষ করতে পারেনি।
সাংসদের বক্তব্য টিভিতে দেখার পরই ৩০ জুন এক মহিলা নাকাশিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলাকারীর অভিযোগ সহ দুটি অভিযোগের তদন্ত করতে একটি টিভি চ্যানেলকে চিঠি পাঠায় পুলিস।
কিন্তু, কোনও উত্তর না পাওয়ায় তদন্ত শুরু করতে পারেনি পুলিস।
এই তথ্য কেন সিঙ্গল বেঞ্চকে জানাননি সরকারিআইনজীবী, তাহলে রায় অন্যরকম হতে পারত
সরকারি আইনজীবীর যুক্তিআমাদের হলফনামাই জমা দিতে দেওয়া হয়নি, ফলে সিঙ্গল বেঞ্চকে জানানো সম্ভব ছিল না সংবাদমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করে কিভাবে কোনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ নির্ধারণ সম্ভব।
মামলাকারীর আইনজীবী সরকারি আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের কার্টিং নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন। এবং তার ওপর ভিত্তি করেই নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নির্ধারণ হয়েছিল।