নোট বাতিলে কপাল পুড়ছে সিন্ডিকেটের, ৪০% কমিশনে চলছে কালো টাকা সাদা করার কাজ

নোট সঙ্কটে দুর্বিপাকে সিন্ডিকেট শিল্প। রাজারহাট-গোপালপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে হাহাকার। গড়ে উঠছে উপনগরী। ইট-বালি সিমেন্টের কারবারই এখানে লক্ষ্মী। এবং লক্ষ্মীলাভের সিংহভাগ আসেই নিয়ম বহির্ভূত পথে।

Updated By: Nov 12, 2016, 10:00 AM IST
নোট বাতিলে কপাল পুড়ছে সিন্ডিকেটের, ৪০% কমিশনে চলছে কালো টাকা সাদা করার কাজ

ওয়েব ডেস্ক : নোট সঙ্কটে দুর্বিপাকে সিন্ডিকেট শিল্প। রাজারহাট-গোপালপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে হাহাকার। গড়ে উঠছে উপনগরী। ইট-বালি সিমেন্টের কারবারই এখানে লক্ষ্মী। এবং লক্ষ্মীলাভের সিংহভাগ আসেই নিয়ম বহির্ভূত পথে।

রাজারহাট-নিউটাউনে প্রতিদিন খাটে চারশো থেকে পাঁচশো কোটি টাকা। পুরোটাই নগদে। পুরোটাই পাঁচশো ও হাজার টাকার নোটে। তবে ইমারতি ব্যবসা মানেই খারাপ নয়। নির্মাণ শিল্পে এখনও নিয়ম মেনে ব্যবসা করার বহু প্রোমোটার রয়েছেন। তবে নির্মাণ শিল্পে পুরো লেনদেন চেক-এ হয় না। কিছুটা ক্যাশেও হয়। বহু ক্রেতাই ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে ক্যাশে কিছুটা টাকা মেটানোর আবদার করেন।

আবাসনে ফ্ল্যাটের সুপারবিল্ট এরিয়ার খরচ সাধারণত নগদে নেওয়া হয়। এর বাইরে আছে সিন্ডিকেটের অসাধু কারবার। সেখানে আগা থেকে গোড়া পুরোটাই কাঁচা টাকার কারবার। সেখানে টাকা আসেও অন্ধকার থেকে। থাকেও অন্ধকারে। এবং যায়ও অন্ধকারে। সেই টাকা কখনও ব্যাঙ্কের মুখ দেখে না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এই ব্যবসায়ীরাই পড়েছেন সঙ্কটে। নির্মাণ ব্যবসায় সোজাপথে যাঁরা চলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। নগদ টাকার সমস্যা কাটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা।

সাপ্লায়ারদের বকেয়া টাকা নগদে মিটিয়ে দিচ্ছেন বহু নির্মাণ ব্যবসায়ী। নগদ টাকা চেনা পরিচিতদের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করিয়ে ফেলছেন বহু ব্যবসায়ী। ঠিকেদারি সংস্থাগুলিকে চেক এর পরিবর্তে নগদে বকেয়া টাকা নিতে বলা হচ্ছে। তবে এতে সমস্যা পুরোপুরি মিটছে না। কারণ কেউই পুরনো নোটে টাকা নিতে চাইছেন না। মোদীর মোক্ষম চালে চরম সঙ্কটে সিন্ডিকেট চক্র। তবে এই সমস্যা কাটানোর একটা উপায়ও বের করে ফেলেছে তারা। অসাধু টাকা বাঁচাতে সামনে এসেছে আরও কয়েকটি অসাধু উপায়।

রাজারহাট নিউটাউনে কাজ করছে কালো টাকা সাদা করার হাওলা চক্র। সকালে বাতিল নোটে ১ কোটি টাকা জমা দিলে বিকেলে চালু নোটে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৩০০ কোটি কালো টাকা ইতিমধ্যেই এভাবে সাদা করা হয়ে গেছে। ৪০% কমিশন নিয়ে কালো টাকা সাদা করার চক্রও কাজ করতে শুরু করেছে। তবে সব চেষ্টার পরেও বাঁচবে না পুরো টাকা। রাজারহাটের সাধু অসাধু সকলেই মেনে নিচ্ছেন এই তথ্য। কিছু টাকা পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

.