সিবিআইকে সারদাকর্তার চিঠি তৃণমূলের নির্দেশেই, অভিযোগ সূর্যকান্তের
সিবিআইকে পাঠানো সুদীপ্ত সেনের চিঠি এক তৃণমূল শীর্ষনেতার নির্দেশেই লেখা বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, এভাবে কয়েক জনকে বলির পাঁঠা করেই তৃণমূলের সর্ব্বোচ্চ নেতৃত্ব বাঁচতে চাইছে। চব্বিশে এপ্রিল সুদীপ্ত সেনের চিঠি প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। অথচ চিঠির বয়ান যে তাঁর অজানা নয়, তা দিন চারেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়।
সিবিআইকে পাঠানো সুদীপ্ত সেনের চিঠি এক তৃণমূল শীর্ষনেতার নির্দেশেই লেখা বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, এভাবে কয়েক জনকে বলির পাঁঠা করেই তৃণমূলের সর্ব্বোচ্চ নেতৃত্ব বাঁচতে চাইছে। চব্বিশে এপ্রিল সুদীপ্ত সেনের চিঠি প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। অথচ চিঠির বয়ান যে তাঁর অজানা নয়, তা দিন চারেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়।
সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুদীপ্ত সেন লিখেছেন মিডিয়া ব্যবসাতে আসাটাই তাঁর শেষের শুরু। সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়া বিভাগের কর্মীদের বেতন হচ্ছিল না গত কয়েকমাস যাবত্।
সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়া বিভাগের সিইও তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ যুক্ত ছিলেন তৃণমূলেরই আরেক সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর মালিকানাধীন দৈনিক সংবাদপত্রে। গত ফেব্রুয়ারিতে আচমকাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এটা যে হিমশৈলের চূড়া তা স্পষ্ট হতে থাকে পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলীতে। সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তারা চ্যানেলের কর্মীরা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই তারা চ্যানেলের কর্মীদের সমবায় গড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ছয়ই এপ্রিল সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি পাঠানোর পরে ওই সমবায় গঠন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সারদার মালিকানাধীন একটি উর্দু দৈনিক দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন মুকুল রায়ের ছেলে তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। জানা যাচ্ছে সেটাও হয়েছে সুদীপ্ত সেন কলকাতা থেকে গা ঢাকা দেওয়ার পর।
সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয় চব্বিশে এপ্রিল। কিন্তু চিঠিতে কী আছে, সেটা যে তাঁর জানা বিশে এপ্রিলই সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
তবে কি বিরোধী দলনেতার তোলা অভিযোগটাই সত্যি? সত্যিই কি রাঘববোয়ালদের আড়াল করতেই সুদীপ্তকে দিয়ে সিবিআইয়ের কাছে চিঠি লেখানো হয়েছিল? এখন এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।