Kamduni murder case: একগুচ্ছ শর্ত আরোপ! কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্তদের মুক্তিতে বিধি নিষেধ সুপ্রিম কোর্টের
খালাসে সায় দিয়েও অভিযুক্তদের গতিবিধিতে কড়া সুপ্রিম কোর্ট। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নয়। রাজারহাটের ওসির অনুমতি ছাড়া এলাকার বাইরে নয়। পাসপোর্ট জমা রেখেই দিন বেঁধে দুই থানায় হাজিরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও আটকাল না মুক্তি। তবে পরিবারের SLP-তে অভিযুক্তদের ওপর একগুচ্ছ শর্ত আরোপ শীর্ষ আদালতের। বিচার প্রক্রিয়া শেষ, তথ্যপ্রমাণ নষ্টের সুযোগ নেই। সেইকারণেই ছাড় বলে জানাল সর্বোচ্চ কোর্ট। খালাসে সায় দিয়েও অভিযুক্তদের গতিবিধিতে কড়া সুপ্রিম কোর্ট । নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নয়। রাজারহাটের ওসির অনুমতি ছাড়া এলাকার বাইরে নয়। পাসপোর্ট জমা রেখেই দিন বেঁধে দুই থানায় হাজিরা।
আরও পড়ুন, Primary TET: 'যে সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছে,জানিয়েছি', নিজাম প্যালস থেকে বেরিয়ে বললেন পর্ষদ সভাপতি
কামদুনির ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তদের মুক্তি আটকালো না সুপ্রিম কোর্ট। তবে, তাদের জন্য একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট। ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তরা রাজারহাট থানার ওসির অনুমতি ছাড়া থানার বাইরে কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না।থানার বাইরে কোথাও যেতে হলে ওসির আগাম অনুমতি নিতে হবে। প্রত্যেক মাসের প্রথম ও তৃতীয় মঙ্গলবার রাজারহাট থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহের সোম এবং শুক্রে বারাসত থানাতেও হাজিরা। পাসপোর্ট থানায় জমা রাখতে হবে। ঠিকানা বদল করলে আগাম জানাতে হবে।তারা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, সেই নম্বর ওসিকে জানাতে হবে।কোনওভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না অভিযুক্তরা।
২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির ঘটনা রাজ্যজুড়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। কলেজ থেকে ফেরার সময় কামদুনির এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই এলাকা। পরে ওই মৃতার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস ছিল, এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আর ১০ বছর জেল খাটায় ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কামদুনির প্রতিবাদী ও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
আরও পড়ুন, Thakurpukur Murder: পুরনো আক্রোশেই খুন? ঠাকুরপুকুরকাণ্ডে গ্রেফতার অভিযুক্ত
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)