কার্টুন কাণ্ডের জেরে রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

কার্টুন কাণ্ড-এ অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতারের ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ছয় সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গকেই নয়, মহারাষ্ট্রের পালগরে বাল ঠাকরের শোকজ্ঞাপন সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দুই তরুণীর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনারও ব্যাখ্যা চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও দিল্লির কাছেও তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতারের একাধিক ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

Updated By: Nov 30, 2012, 01:37 PM IST

কার্টুন কাণ্ড-এ অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতারের ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ছয় সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গকেই নয়, মহারাষ্ট্রের পালগরে বাল ঠাকরের শোকজ্ঞাপন সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দুই তরুণীর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনারও ব্যাখ্যা চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও দিল্লির কাছেও তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতারের একাধিক ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
গতকালই ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ এ-র ধারার কড়া সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর বলেন, "যে ভাবে অল্পবয়সীদের গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে তাতে দেশের ভাবাবেগ গুরুতর আহত।" তিনি আরও বলেন এই ঘটনা যেন না ঘটে তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এ দিনই দিল্লির এক আইনের ছাত্রী শ্রেয়া সিংঘল সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাতে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির ৬৬ এ ধারাটি অসাংবিধানিক এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
সাম্প্রতিককালে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা সারা দেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। চলতি মাসেই মহারাষ্ট্রে বাল ঠাকরের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনে মহারাষ্ট্র স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করায় গ্রেফতার হন ২১ বছরের শাহীন ধাদা ও তাঁর বান্ধবী রিনু শ্রীনিবাসন। দেশ জুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ হয়। চাপে পড়ে রাজ্য সরকার ঘটনায় জড়িত দুই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ডে করে।
মহারাষ্ট্রের ঘটনায় জড়িত পুলিস অফিসারের সাজা হলেও পশ্চিমবঙ্গে কার্টুনকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ফেসবুকে নিছক একটি ব্যাঙ্গচিত্র ছড়ানোর `অপরাধে` গ্রেফতার হন। জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার হলেও সারারাত হাজতবাস করতে হয় তাঁকে। মানবাধিকার কমিশনও এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। তবে গ্রেফতারকারী পুলিসদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাই নয় তাঁদের অতিসক্রিয়তা প্রশংসিত হয়েছে মহাকরণের অলিন্দেও।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ এ ধারা অনুযায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, বিরক্তি উদ্দীপক, বিপদ ছড়ানো, অপমানকর, ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এমন, অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন, ঘৃণা, বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ালে গ্রেফতার করা হবে বার্তা প্রেরককে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, আইনটির অপব্যবহার রুখতে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবা হচ্ছে।

.