সুজনদের ধনুকভাঙা পণের সামনে হার মানল লালবাজার
তাদের দাবি, জামিন নিতে কোনও শর্ত মানবে না তারা। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন বাম নেতাকর্মীরা। চাপের মুখে সন্ধ্যার পর বিনা শর্তেই তাঁদের মুক্তি দিতে রাজি হন পুলিসকর্তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনভর নাটকের পর সন্ধ্যায় বিনা শর্তে সুজন চক্রবর্তীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হল কলকাতা পুলিস। সন্ধ্যায় লালবাজারের লক আপ থেকে মুক্তি পেলেন ১৯৪ জন বাম কর্মী সমর্থক।
বনধের সমর্থনে মিছিল অবরোধে সামিল হওয়ায় ২০০ বেশি বাম কর্মী সমর্থককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে লালবাজারে হাজির করে কলকাতা পুলিস। এদের মধ্যে সিপিএম ছাড়াও ছিলেন অন্যান্য বামদলের নেতা কর্মীরা। লালবাজারের লকআপে বন্দি করার পর তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন নিতে হবে বলে জানায় পুলিস প্রশাসন। শর্ত মেনে নিয়ে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিয়ে মুক্ত হন এসইউসিআই নেতাকর্মীরা। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না সিপিএম সহ বাম দলগুলি।
তাদের দাবি, জামিন নিতে কোনও শর্ত মানবে না তারা। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন বাম নেতাকর্মীরা। চাপের মুখে সন্ধ্যার পর বিনা শর্তেই তাঁদের মুক্তি দিতে রাজি হন পুলিসকর্তারা। মুক্ত হন ১৯৪ জন বাম নেতা-কর্মী।
এর আগেও লালবাজার লক আপ থেকে জামিন নিতে অস্বীকার করেছিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা। সারা রাত লক আপে কাটানোর পর আদালত থেকে জামিন নেন তাঁরা। সেবার বিপুল সংখ্যক বাম কর্মী-সমর্থককে লক আপে রাখতে কালঘাম ছুটেছিল পুলিসকর্তাদের।