আজও জেরা হল না সুদীপ্ত-দেবযানীর

গত দুদিনের মত মঙ্গলবারও পুলিসি জেরা হল না সুদীপ্ত-দেবযানীর। দিনভর সারদার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ব্যস্ত রইলেন গল্পের বইয়ে। আর অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএমে

Updated By: May 14, 2013, 09:43 PM IST

গত দুদিনের মত মঙ্গলবারও পুলিসি জেরা হল না সুদীপ্ত-দেবযানীর। দিনভর সারদার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ব্যস্ত রইলেন গল্পের বইয়ে। আর অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএমে একাধিক মেডিক্যাল টেস্ট হল সুদীপ্ত সেনের।
তবে এদিনই সুদীপ্ত সেনের ছটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আদালত। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে শুধুমাত্র টাকা জমা করা যাবে। আদালতের তরফে টাকা তোলার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। 
সোমবারই সারদা গোষ্ঠীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বিধাননগর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী। মঙ্গলবার ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারক সারদার ছটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দেন। এরমধ্যে রয়েছে সেক্টর ফাইভে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের শাখায় পাঁচটি এবং বেহালায় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া শাখার অ্যাকাউন্ট।
 মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে বেরোয় বিধাননগর পুলিসের একটি দল। সল্টলেকের এইচ এ একশো পনেরো নম্বর বাড়িতেই থাকতেন সুদীপ্ত সেন।  ওই বাড়ি থেকে  কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেন গোয়ন্দারা।  এরপর  সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করেন কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিত‍সকেরা। ইসিজি, ইউএসজি সহ অন্যান্য মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক হাসপাতালে ছিলেন সুদীপ্ত সেন। তবে পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি।
মঙ্গলবার বিকালে বিধাননগর কমিশনারেটে ডেকে পাঠানো হয় দেবযানীর বোনকে। সারদা পরিচালিত শিলিগুড়ির স্কুলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেবিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
 

.