শাসককে সন্তুষ্ট রাখতে খেয়াল রাখতেন সুদীপ্ত নিজে
রাজ্যের শাসক দল যেন কোনও ভাবেই রুষ্ট না হয়। তার দিকেই সদা সতর্ক নজর থাকত সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের। এ জন্য মিডিয়ার প্রধানকে লিখিত নির্দেশও দিয়েছেন। কলকাতা থেকে অসমের সংবাদপত্রের প্রধানকে পাঠানো সারদা কর্তার নির্দেশের এক্সক্লুসিভ কপি ২৪ ঘন্টার হাতে।
রাজ্যের শাসক দল যেন কোনও ভাবেই রুষ্ট না হয়। তার দিকেই সদা সতর্ক নজর থাকত সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের। এ জন্য মিডিয়ার প্রধানকে লিখিত নির্দেশও দিয়েছেন। কলকাতা থেকে অসমের সংবাদপত্রের প্রধানকে পাঠানো সারদা কর্তার নির্দেশের এক্সক্লুসিভ কপি ২৪ ঘন্টার হাতে।
সেভেন সিষ্টার্স পোষ্ট। উত্তর পূর্ব ভারতে সারদা গোষ্ঠীর ইংরেজি দৈনিক। সম্পাদক ছিলেন সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। কিন্তু নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি রোজকার কাজে সময় দিতে পারবেন না জানিয়ে সেভেন সিস্টার্স পোস্টের ম্যানেজিং এডিটরকে চিঠি লেখেন সুদীপ্ত সেন। সেই চিঠিতেই দৈনিকের রাজনৈতিক লাইন ঠিক করে দেন সুদীপ্ত সেন। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ম্যানেজিং এডিটর হিসেবে সেভেন সিস্টারর্স পোস্টের সম্পূর্ণ সম্পাদকীয় দায়িত্ব আপনার হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা সম্পাদকীয় লাইন হিসেবে কয়েকটি বিষয় নির্দিষ্ট করেছি। মনে রাখবেন, আমাদের কাগজে যেন সরকার বিরোধী কোনও প্রচার বা খবর প্রকাশিত না হয়। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আমরা কোনও ভূমিকা নেব না। বিরোধীরা সাহায্য চাইলেও আমরা তা করব না।
চিঠিতেই স্পষ্ট সংবাদপত্র চালাতে গিয়ে কোনও ভাবেই শাসক দলের বিরাগভাজন হতে চাননি সুদীপ্ত সেন। সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে শাসক দলের বন্দনা করে আসলে সরকারের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। কারণ শাসক দল পাশে না দাঁড়ালে প্রতারণার বড় জাল বিছানো যে মুশকিল, সেটা বিলক্ষণ বুঝতেন সুদীপ্ত সেন। প্রশ্ন উঠছে, অসমের মতো উত্তর পূর্বের অন্য রাজ্যগুলি বা পশ্চিমবঙ্গেও সেই একই ফর্মুলা নিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন?