গণতন্ত্র বাঁচাতে ইতালীয়দের তাড়িয়ে কংগ্রেসের সভানেত্রী হোন মমতা: বিজেপি নেতা
তৃণমূল-এনসিপি-কে কংগ্রেসের সঙ্গে বিলয়ের পরামর্শ?
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের দ্বায়িত্ব নিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে এমন দাওয়াই দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপির একচেটিয়া রাজত্ব চললে বিপন্ন হবে দেশের গণতন্ত্র। ইউনাইটেড কংগ্রেসের সভানেত্রী হোন মমতা।
শুক্রবার টুইটারে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী লেখেন, গোয়া ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখার পর আমার মনে হচ্ছে, দেশে একটাই দল বিজেপি থাকলে বিপন্ন হবে দেশের গণতন্ত্র। তা হলে কী উপায়? স্বামীর বক্তব্য, ইতালিয়ান ও পরিবারের লোকেরা বিদায় নিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংযুক্ত কংগ্রেসের সভানেত্রী করা হোক। কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া উচিত এনসিপি-রও।
After witnessing Goa and Kashmir, I feel that nation's democracy will weaken if we are left with BJP as a single party. Solution? Ask Italians & progeny to leav. Mamata can then be President of united Congi thereafter. NCP should also follow and merge.
— Subramanian Swamy (@Swamy39) July 12, 2019
সম্প্রতি, গোয়াতে ১০ কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। কর্ণাটকেও টলমল অবস্থায় কংগ্রেস। সেই দিকে তাকিয়েই বিরোধী রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে এমন পরামর্শ দিয়েছেন স্বামী। লোকসভা ভোটে হারের দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যেই সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। অন্য দিকে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই অবস্থা এনসিপি-র। শরদ পাওয়ারের দলেরও ভরাডুবি হয়েছে। স্বামী যা বলতে চেয়েছেন, তার অর্থ হল কংগ্রেসের নেতৃত্বের অভাব প্রকট। আবার কংগ্রেস ভেঙে গঠিত তৃণমূল ও এনসিপি-ও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাক এনসিপি ও তৃণমূল। ইউনাইটেড কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিন মমতা। বলে রাখি, লোকসভা ভোটের পর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শরদ পাওয়ার। জল্পনা শুরু হয়েছিল, এনসিপি-কে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চান শরদ।
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। তারকেশ্বরের মন্দিরের পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন স্বামী। চেয়ারম্যানের পদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে অপসারিত না করা হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরূদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
আরও পড়ুন- বিধাননগর পুরনিগম দখলে রাখতে হাইকোর্টে মামলা করলেন সব্যসাচী দত্ত