ধর্মঘট নিয়ে সম্মুখ সমরে সরকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলি
আঠাশে ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘট নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক দানা বাধল। আজ মহাকরণে পরিবহণ নিগমের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মদন মিত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই দিন ধর্মঘটে যোগ দিলে পরিবহণ কর্মীদের সার্ভিস ব্রেক হবে। মদনবাবুর এই মন্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।
আঠাশে ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘট নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক দানা বাধল। আজ মহাকরণে পরিবহণ নিগমের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মদন মিত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই দিন ধর্মঘটে যোগ দিলে পরিবহণ কর্মীদের সার্ভিস ব্রেক হবে। মদনবাবুর এই মন্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।
সাধারণ ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীরা কোনও ছুটি নিতে পারবেন না বলে কদিন আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মুখ্যসচিব। সেই নির্দেশিকা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। শুক্রবার মহাকরণে পরিবহণ নিগমের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। তার পরেই তিনি জানিয়ে দেন, ধর্মঘটের দিন কাজে না এলে পরিবহণ কর্মীদের সার্ভিস ব্রেক হবে। এর উত্তরে এদিন শ্যামলবাবু বলেন, কর্মচারীদের সার্ভিস রুলে ধর্মঘট করার অধিকার রয়েছে। ফলে আইনত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না সরকার।
ধর্মঘটের দিন ছুটি নেওয়া যাবে না, সরকারের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত যে সব কর্মীরা ওই দিন আসবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা। কিন্তু পরিবহণমন্ত্রী যেভাবে সার্ভিস ব্রেক হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন, তাতে এই বিভ্রান্তি আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল। সরকারের কোনও একটি দফতর আলাদা ভাবে এধরনের ঘোষণা করতে পারে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।