একশো দিনের কাজে রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়, স্বীকার রিপোর্টে
একশো দিনের কাজে রাজ্যের অবস্থা যে শোচনীয় বিধানসভায় পেশ করা এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে এই প্রকল্পে কর্ম দিবসের সংখ্যা গত দুবছরে বাম জমানার তুলনায় নেমে গেছে। সোমবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করে রাজ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই এই কাজে রাজ্যের পারফরম্যান্সকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু, বিধানসভায় পেশ করা পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট, একেবারে উল্টো তথ্য দিচ্ছে।
একশো দিনের কাজে রাজ্যের অবস্থা যে শোচনীয় বিধানসভায় পেশ করা এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে এই প্রকল্পে কর্ম দিবসের সংখ্যা গত দুবছরে বাম জমানার তুলনায় নেমে গেছে।
সোমবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করে রাজ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই এই কাজে রাজ্যের পারফরম্যান্সকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু, বিধানসভায় পেশ করা পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট, একেবারে উল্টো তথ্য দিচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, একশো দিনের প্রকল্পে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাপকাঠি হল কর্মদিবস তৈরি। ২০১১-১২ এই আর্থিক বছরে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ৩৩ দিন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, একশো দিনের কাজে গতি আনতে সরকার অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০১১-১২ আর্থিক বছরে ৩৩ দিনের বেশি কর্মদিবস তৈরি করা যায়নি।
বিধানসভায় পেশ করা রাজ্য সরকারের এই তথ্যেও কিছুটা গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজ সংক্রান্ত যে ওয়েবসাইট রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১১-১২ আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গে কর্মদিবস তৈরি হয়েছে ২৬ টি। পরিকল্পনা ছিল ৩৩ দিন কর্মদিবস তৈরি করার।
২০০৯-১০ আর্থিক বছরে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ হয়েছিল ৪৫ দিন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই কি সরকার একশো দিনের কাজ নিয়ে ব্যর্থতার দিকটি ঢেকে রাখতে চাইছে?