চিটফান্ড বিল নিয়ে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার
চিটফান্ড বিল নিয়ে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠানো হল চিটফান্ড বিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আইনমন্ত্রকের বেশ কিছু মন্তব্য সহ বিলটি ফেরত এসেছে মহাকরণে। কীভাবে নতুন আইনে পুরনো ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি সম্ভব তার ব্যাখা চেয়েছে দুই মন্ত্রক। ফলে এখনই পাস হচ্ছে না এই বিল। বিলটি অনুমোদন না পাওয়ায় বিরোধীদের আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে প্রতারিতদের দ্রুত সুবিচার পাওয়ার আশা এখন বিশ বাঁও জলে।
চিটফান্ড বিল নিয়ে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠানো হল চিটফান্ড বিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আইনমন্ত্রকের বেশ কিছু মন্তব্য সহ বিলটি ফেরত এসেছে মহাকরণে। কীভাবে নতুন আইনে পুরনো ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি সম্ভব তার ব্যাখা চেয়েছে দুই মন্ত্রক। ফলে এখনই পাস হচ্ছে না এই বিল। বিলটি অনুমোদন না পাওয়ায় বিরোধীদের আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে প্রতারিতদের দ্রুত সুবিচার পাওয়ার আশা এখন বিশ বাঁও জলে।
গত ২৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আইন হয়ে গেলে হাত শক্ত হবে। হাত শক্ত করতে চেয়েছিলেন বিরোধীরাও। চেয়েছিলেন প্রতারকদের কড়া শাস্তির আইনি বিধান। কিন্তু নতুন বিল নিয়ে তাঁদের মধ্যে কাজ করছিল বেশ কিছু আশঙ্কা।
বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বললেন, বজ্র আঁটুনি-ফস্কা গেরো। আশঙ্কাই শেষপর্যন্ত সত্যি প্রমাণ হল। চিটফান্ড সংক্রান্ত বিল রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বেশ কিছু মন্তব্য সহ বিলটি ফেরত এসেছে। কয়েকটি ইস্যুতে রাজ্যের ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছে বিলের রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট নিয়ে। রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্টের জেরে নতুন আইনেই পুরনো অপরাধের শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট কার্যকরী নয়। সেক্ষেত্রে অসাংবিধানিক জেনেও নতুন বিলে এই বিষয়টি রাজ্য সরকার কেন অন্তর্ভুক্ত করেছে তার ব্যাখা চেয়েছে কেন্দ্র।
সারদা-দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর গত তিরিশে এপ্রিল তড়িঘড়ি নতুন চিটফান্ড বিল তৈরি করে তা বিধানসভায় পাস করায় বর্তমান সরকার। জরুরি ভিত্তিতে তাতে রাজ্যপালের সই করিয়ে পাঁচই মে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য চেয়েছিল, তাঁদের তৈরি করা বিলটিতেই যেন দ্রুত সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কেন্দ্র ব্যাখা চেয়ে বসায় স্বভাবতই খানিকটা বিপাকে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অতি সক্রিয়তায় ত্রুটিপূর্ণ বিলের মাশুল এবার প্রতারিতদের দিতে হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।
এদিকে, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে আজ সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের দফতরে তল্লাসি চালাল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। চৌষট্টি নম্বর শেক্সপিয়র সরনির ওই অফিসে তল্লাসি চালিয়ে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পর্যটনের নামে ওই অফিস কার কার কাছ থেকে কত পরিমান টাকা তুলেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টাকা দেওয়ার পর আদৌ তাঁরা পরিষেবা পেয়েছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই বিষয়টিও। সারদার অন্যতম কর্ণধার দেবযানী মুখার্জি দীর্ঘদিন ওই অফিসটির কোষাধক্ষ্যের দায়িত্বে থাকায় আজ তল্লাসি চলাকালীন তাঁকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়।