রাজ্যকে ১১ পাতার চিঠি, আগামিকাল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে কমিশন
রাজ্য সরকারকে ১১ পাতার চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মহাকরণে পঞ্চায়েতের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে। কমিশনের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান হয়। এগারো পাতার এই চিঠিতে ৪৩-এর ২ ধারা অনুযায়ী নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে কমিশন। রাজ্যের প্রত্যুত্তরের উপর ভিত্তি করেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন।
রাজ্য সরকারকে ১১ পাতার চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মহাকরণে পঞ্চায়েতের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে। কমিশনের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান হয়।
এগারো পাতার এই চিঠিতে ৪৩-এর ২ ধারা অনুযায়ী নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে কমিশন। রাজ্যের প্রত্যুত্তরের উপর ভিত্তি করেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। চিঠি হাতে পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত বুখোপাধ্যায়। তার পরেই সরকার তার সিদ্ধান্ত জানাবে।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে আজ চিঠি পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এপ্রিলের ২৬ এবং ৩০ তারিখ পঞ্চায়েত ভোটের দিন স্থির করেছে রাজ্য সরকার। এবং একতরফা ভাবে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েই চিঠি পাঠানো হল। কমিশন সরকারের কাছে দ্রুত উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও চিঠিতে জানানো হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, সরকার যে পদ্ধতিতে একতরফা ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছে তা আইন বিরুদ্ধ। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেস প্রভাবিত তিন জেলায় ভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সরকারের ওপর যে তাঁদের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, কমিশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। সন্ধেয় একই দাবিতে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবেন তাঁরা।