পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দিলীপ-রাহুলকে নিয়ে বেকায়দায় বিজেপি
দিলীপের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রাহুলের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি।
অঞ্জন রায়
পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রাক্তন ও বর্তমানকে নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় রাজ্য বিজেপি। রাহুল সিনহা ও তাঁর উত্তরসূরী দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিপাকে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের মোকাবিলায় বদলে এখন দলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এই দুই নেতাই।
অস্থিরতার মূলে কী?
নির্বাচনী হলফনামায় দিলীপের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অশোক সরকার। ওই মামলায় দিলীপ ঘোষকে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে রাজ্য সভাপতির ভবিষত্ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। শংসাপত্র না দেখাতে পারলে বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে দিলীপ ঘোষের। প্রশ্ন উঠছে, দলের টাকায় কেন মামলা লড়ছেন দিলীপ ঘোষ? কেনই বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এই ধোঁয়াশা তৈরি হল? দিলীপ ঘোষ মামলা হারলে দায় তো নিতে হবে দলকেই। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। হলফনামার জমা দেওয়ার নেপথ্যে কারা ছিলেন, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। ডেকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতিকে।
দিলীপকে ঘোষের সঙ্গে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহাও। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অথচ রাহুলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং। রাজ্য বিজেপির অন্দরে জল্পনা, সাতপাঁচ না ভেবে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে রাহুল সিনহার। আগেও বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি। এবার আগ বাড়িয়ে এহেন মন্তব্য করার ফল ভুগতে হবে দলকে। ভবিষ্যতে মামলা হলে কীভাবে নিজের দাবি প্রমাণ করবেন রাহুল সিনহা? দলের অন্দরেই উঠছে এই প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই দুই শীর্ষ নেতাকে নিয়ে দলের সর্বোচ্চস্তরে ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ। তাদের দাবি, দলের সঙ্গে আলোচনা না-করে আগ বাড়িয়ে রাহুল সিনহার এই মন্তব্য কেন? কেনই বা রাজ্য সভাপতির মতো পদে থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- খতম বুরহান ওয়ানির ভাইরাল 'ইয়ং ব্রিগেড'