Partha Chatterjee, SSC Scam: আবাসনের আনাচকানাচে সিসিটিভি, তবু কোন ফর্মুলায় মজুত বিপুল টাকা
বাড়ি অথবা বাংলো হলে সহজেই রাতের অন্ধকারে এনে রাখা যায় এই টাকা। কিন্তু যে দুটি আবাসন থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে এই দুটি আবাসনই অভিজাত আবাসন এবং সর্বক্ষণের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঢাকা। এই টাকা রাখার বিষয় কতজন জড়িত এটা এই মুহুর্তে জানতে চাইছে ইডি আধিকারিকরা। কারন এই তথ্য জানার পরেই পরিষ্কার হবে এই চক্রের পরিধি কত বড় ছিল। এরথেকেও গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ইডি কর্তারা এখনই বুঝতে পারছেন এই চক্রের পরিধি ঠিক কতটা বড় কারন বেলঘরিয়ার রথতলার আবাসন থেকে বিপুল পরমাণ নগদ টাকার পাশাপাশি গোল্ড বার পাওয়া গিয়েছে।
অয়ন ঘোষাল: কোন ফর্মুলায় বিপুল টাকা মজুত। আবাসনের আনাচে কানাচে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর নজর এড়িয়ে কীভাবে বস্তা বস্তা টাকা এনে রাখা হত এখানে? কী ভাবে ফ্ল্যাটে জমল টাকার পাহাড়? সূত্রের খবর শনিবার এই নিয়েই পার্থ এবং অর্পিতাকে জেরা করবেন ইডির আধিকারিকরা। বাড়ি হলে সেখানে টাকা রাখা সহজ। কিন্তু সিসিটিভি-র নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে ফ্ল্যাটে এল টাকা সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে ইডির আধিকারিকদের।
বাড়ি অথবা বাংলো হলে সহজেই রাতের অন্ধকারে এনে রাখা যায় এই টাকা। কিন্তু যে দুটি আবাসন থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে এই দুটি আবাসনই অভিজাত আবাসন এবং সর্বক্ষণের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঢাকা। এখানে ঢোকা বেরনোর সময় সাধারণ মানুষকে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়। তাহলে কোন কায়দায় এই টাকা মজুদ করা হল বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে? কোন কায়দায়, কার মাধ্যমে এবং কী ভাবে এল এই টাকা উঠছে সেই প্রশ্ন।
এই টাকা রাখার বিষয় কতজন জড়িত এটা এই মুহুর্তে জানতে চাইছে ইডি আধিকারিকরা। কারন এই তথ্য জানার পরেই পরিষ্কার হবে এই চক্রের পরিধি কত বড় ছিল। এরথেকেও গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ইডি কর্তারা এখনই বুঝতে পারছেন এই চক্রের পরিধি ঠিক কতটা বড় কারন বেলঘরিয়ার রথতলার আবাসন থেকে বিপুল পরমাণ নগদ টাকার পাশাপাশি গোল্ড বার পাওয়া গিয়েছে। গোল্ড বার সাধারণত বাজারে কেনা যায়না অথবা তৈরি করিয়ে নেওয়া যায়না। সাধারণ মানুষ এই গোল্ড বার তৈরি করার সুযোগই পান না। এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করে। অর্থাৎ শুধু পার্থ চ্যাটার্জি অথবা অর্পিতা মুখার্জি এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ কিছু অনুচররাই যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় এবং এর পিছনে যে একটা বড় চক্র কাজ করছে এই বিষয় এখনও পর্যন্ত প্রায় নিশ্চিত ইডির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: চোখে জল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি দু'জনেরই
জানা গিয়েছে মূলত মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে সোনা আসে। এই সোনা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছু বৈধ নোডাল এজেন্সি রয়েছে। কিন্তু এখানে যেভাবে গোল্ড বার পাওয়া গিয়েছে সেগুলি এরকম কোনও এজেন্সির হাত ঘুরে আসেনি। সেক্ষেত্রে এগুলি এল কোথা থেকে। কারন গোল্ড বার রাতারাতি ঘরে বসে তৈরি করা যায়না। সোনা গলিয়ে গোল্ড বার তৈরির কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।
ফলত এই গোল্ড বার কোথা থেকে এল তা শনিবার জানতে চাইবে ইডি। এর সঙ্গেই রয়েছে রিয়েল এস্টেট। নামে এবং বেনামে অর্পিতার যে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি তাকে মান্যতা দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা চলছিল বলে মনে করছে ইডি। ফলত সেই বিষয়েও জেরা করা হবে দু’জনকেই।