SSC Scam, Partha Chatterjee: উদ্ধার হওয়া টাকা আমার নয়, ফের বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়
রবিবার ফের জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ ও অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে। গতবারের মতো এবার আর কেঁদে ভাসাননি অর্পিতা। আজ তিনি ছিলেন একেবারেই শান্ত।
রণয় তেওয়ারি: জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টার প্রশ্ন উত্তরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। পাশাপাশি আরও বলেন তাঁর শরীর একেবারেই ভালো নেই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে।
রবিবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকায় নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ ও অর্পিতাকে। সিআরপিএফের কড়া নিরাপত্তার মুখে জোকার ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখে তাঁকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, ধাপে ধাপে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল টাকা কার? পার্থবাবু বলেন, ওই টাকা আমার নয়। শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করা হলে পার্থ বলেন, শরীর একেবারেই ভালো নেই। সাংবাদিকরা ফের প্রশ্ন করেন, তাহলে ওই টাকা কার? পার্থ বলেন, আমার কোনও টাকা নেই। কেউ কি আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে? হাঁ ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সময় এলেই বুঝতে পারবেন।
এর আগে যখন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তিনি। রীতিমতো কেঁদে ভাসিয়ে ফেলেন তিনি। তবে আজ ছবিটা একেবারেই আলাদা। শান্তই ছিলেন বরাবর। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসছে। সেটি হল, তদন্তকারীরা মনে করছেন বিপুল টাকা পাচার করা হয়েছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি সেখানে সম্পত্তিও কেনা হতে পারে। বারাসতের একটি টেক্সটাইল কোম্পানির মাধ্যমে ওই টাকা সীমান্তপার করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, ওই টেক্সটাইল কোম্পানির মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তার মাধ্য়মেই বাংলাদেশে সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্য়াটে যখন তল্লাশি হয় সেই সময় সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিপুল টাকা পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে এবং সেখানে সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। এনিয়ে বিস্তারিত জানতে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নিচ্ছে ইডি। ওইসব টেক্সটাইল কোম্পানিগুলিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে বারাসতের কোম্পানিগুলি কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রচুর শাড়ি কিনতেন পার্থ। এত শাড়ি নিয়ে তিনি কী করতেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখন নেই। তবে অনুমান করা হচ্ছে যে বিপুল টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে তা আইন অনুযায়ী দেখানোর জন্য ওইসব শাড়ি কেনা হতো।
এদিকে, পার্থকাণ্ডে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। আজ এক টুইট করে তিনি লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, এই ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকারের টাকা আত্মসাত্ করে এখন জেলে। এখন অন্তত এনার নামটা অষ্টম শ্রেনির ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুছুন। নাহলে বইয়ের পাতায় নাম দেখে নতুন প্রজন্ম এই ব্যক্তিকে নেতাজি বা ক্ষুদিরামের সমতুল্য বলে মনে করতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন-'ও তোতা পাখি রে...' সঙ্গীত জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত নির্মলা মিশ্র