SSC Scam: প্রাথমিকে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে 'পর্ষদের' ফোন নম্বর
হালফনামায় মেসেজের ওই স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, আদালতের সঙ্গে ট্রিক খেলবেন না। ওই মন্তব্যের পর ওই ১৪০ জনের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে আরও চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার চাকরি যাচ্ছে আরও ১৪০ জনের। ওই ১৪০ জনের কারও হলফনামা নেওয়া হবে না। ওইসব শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সবার হলফনামায় কীভাবে বোর্ডের মেসেজের একই স্ক্রিন শট? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন-দিল্লির সুলতানপুরীতে তরুণীর ভয়ঙ্কর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উঠে এল হাড়হিম করা তথ্য
প্রাথমিকে বিতর্কিত ২৬৮ জনের নিয়োগ মামলায় ১৪০ জনের হলফনামা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের শুনানি হয়। সেইসব হলফনামায় বোর্ডের তরফে পাঠানো একটি মেসেজ দেখানো হচ্ছে। সেই মেসেজের স্ক্রিনশর্ট সবার ক্ষেত্রেই এক। পাশাপাশি, ওই স্ক্রিন শর্ট নেওয়ার টাইম, ও মোবাইলের ব্যাটারি যতটা বেঁচে রয়েছে তাও একই। এমনকি সবকটি ক্ষেত্রেই মোবাইল সাইলেন্ট মোডে আছে বলে দেখা যাচ্ছে।
হালফনামায় মেসেজের ওই স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, আদালতের সঙ্গে ট্রিক খেলবেন না। ওই মন্তব্যের পর ওই ১৪০ জনের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি এও বলা হয় ওইসব শিক্ষকরা যাতে বেতন না পায় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই ২৬৮ জনের মধ্যে ২ জন চাকরি ফেরত পেয়েছেন। আগামিকাল বাকীরা হলফনামা জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, মঙ্লবার ৫৪ জন তাদের চাকরির স্বপক্ষে হলফনামা দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত।
এদিকে, প্রাথমিকে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে 'পর্ষদের' একটি ফোন নম্বর। এনিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই ফোন নম্বরটি কার, কোথা থেকে এসেছিল, খতিয়ে দেখবে সিবিআই। প্রাথমিকে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে একজনের দাবি, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনের উল্টোদিকে থাকা ব্যক্তি বলেন, তিনি পর্যদ থেকে কথা বলছেন। আমি যেন পর্যদ সভাপচির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করি। বিচারপতি বলেন, পর্ষদের নাম করে কে ফোন করেছিলেন তা বের করতে হবে সিবিআইকে।