SSC Scam: আবেদন নাকচ পরীক্ষার্থীর! বিপুল টাকা জরিমানা জেলবন্দি মানিককে
২০১৭ সালে টেট-এ বসেছিলেন সাহিলা পারভিন নামে এক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর সন্দেহ হয়। তার পরেই তিনি ওএমআর শিট দেখতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে তিনি আবেদন করেন
অর্ণবাংশু নিয়োগী: চাপ আরও বাড়ল মানিক ভট্টাচার্যের উপরে। দিন দশের আগেই তাঁকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর আজ ফের জেলবন্দি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের হাতছানি, বোপান্নাকে নিয়ে ফাইনালে টেনিস সুন্দরী
কেন এই বিপুল টাকা জরিমানা? ২০১৭ সালে টেট-এ বসেছিলেন সাহিলা পারভিন নামে এক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর সন্দেহ হয়। তার পরেই তিনি ওএমআর শিট দেখতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে তিনি আবেদন করেন। এর জন্য নির্ধারিত ফি-ও জমা দিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেয়নি পর্ষদ। এমনটাই অভিয়োগ। সেই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দল আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্য়ে ওই টাকা তাকে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এক টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতে ওই জরিমানা করা হয় মানিককে। ২০১৪ সালে টেট-এ বসেন মালারানী পাল। পরীক্ষা তো দিয়েছিলেন কিন্তু সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কিনা তা পর্ষদ কখনও তাকে জানায়নি। তার দাবি, সেই জন্যই তিনি ২০১৬ ও ২০২০ সালে তিনি টেট-এ বসতে পারেননি। এতে তাঁর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ওই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার রয়েছে সকল পরীক্ষার্থীর। কিন্তু পর্ষদের সর্বোচ্চ পথে এমন একজন ব্যক্তির জন্যই এই পরিস্থিতি। এর জন্য পর্ষদের শীর্ষ পদে থাকা মানিককে ২ লাখ টাকা জরিমান করা হয়। ওই জরিমানার টাকা তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যে মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় গত ২০ জুন মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর একাধিকবার জেরা, তাঁকে খুঁজে বের করতে লুক আউট নোটিস-সহ একাধিক বিষয় হয়েছে। শেষপর্যন্ত গত ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় মানিককে।