মুকুল রায়ের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের
মুকুল রায়ের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনশনকারীদের দাবি মানা সম্ভব নয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কোন আশ্বাসের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা ৭৫ দিনের অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন? চাকরি প্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে, এই আশ্বাসেই অনশন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা।
ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়ের আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনশনকারীদের দাবি মানা সম্ভব নয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কোন আশ্বাসের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা ৭৫ দিনের অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন? চাকরি প্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে, এই আশ্বাসেই অনশন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা।
কম্বাইন্ড মেরিট লিস্টে থাকা সবাইকেই চাকরি দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে অনশন শুরু করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই অনশন চলে একুশ দিন। এরপর ফের অনশনে বসেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরেও সকলকে চাকরি দেওয়া হয়নি। অনশনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সব রাজনৈতিক দল। পাশে দাঁড়িয়েছেন বুদ্ধিজীবীরাও। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গেও দেখা করেছেন অনশনকারীরা। দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতেরও। এসবে অবশ্য লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়ের আশ্বাসে বুধবার উঠল অনশন।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আইনত অনশনকারীদের দাবি মানা সম্ভব নয়। সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীও। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে কোন আশ্বাস পেয়ে অনশন তুললেন চাকরিপ্রার্থীরা। শঙ্কুদেব পাণ্ডা অবশ্য বলছেন আলোচলা, অনশন একসঙ্গে চলতে পারে না।
আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেকারণেই অনশন প্রত্যাহার। এর পরেও দাবি মানা না হলে ফের অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।