সোমবার আলিপুর থেকে মিছিল বিজেপির, থাকছেন শোভন-বৈশাখী

এদিন বিকেল সাড়ে তিনটেয় বিজেপির ওই মিছিল হবে আলিপুর থেকে

Updated By: Jan 2, 2021, 02:28 PM IST
সোমবার আলিপুর থেকে মিছিল বিজেপির, থাকছেন শোভন-বৈশাখী

নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে একটি বড় দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য BJP। শোভনকে কলকাতার পর্যবেক্ষক ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর ওই ঘোষণা করেছেন খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এবার গেরুয়া পতাকা হাতে রাস্তায় নামছেন শোভন ও বৈশাখী।

রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৪ জানুয়ারি অর্থাত্ সোমবার একটি বাইক মিছিল করতে পারেন তাঁরা। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটেয় বিজেপির ওই মিছিল হবে আলিপুর থেকে। মিছিল শেষ হবে বিজেপির রাজ্য সদর দফতর পর্যন্ত। তবে এখনও পর্যন্ত খবর, ওই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিস।

আরও পড়ুন- বছরের শুরুতেই রাজ্যে Nadda, ৯ জানুয়ারি বীরভূমে রোড শো BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতির

উল্লেখ্য, তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পরও দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না একেবারেই। তাই যোগদানের পর বছর ঘুরে গেলেও সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee)। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, একুশের বিধানসভা ভোটে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও তৃণমূলের প্রাক্তন এই দাপুটে নেতার সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজ লাগাতে চাইছে দল। কিন্তু কীভাবে? এই প্রশ্ন ছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এমনও জল্পনা ছিল, ফের নাকি তৃণমূলেই (TMC) ফিরতে পারেন শোভন। এরকম পরিস্থিতিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নভেম্বরে রাজ্য সফরে এসে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee ) ও বৈশাখীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শাহ (Amit Shah)। এরপরই বিজেপিতে পদ পেলেন শোভন। সঙ্গে বৈশাখীও।

আরও পড়ুন- সারা দেশে বিনামূল্যে করোনার টিকা, জানালেন হর্ষবর্ধন

তৃণমূলে থাকাকালীন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দল ও প্রশাসনের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়র, এমনকী, ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার সভাপতিও। প্রথম থেকেই শোভনের দাবি ছিল, তিনি কলকাতায় কাজ করতে চান এবং তাঁকে যেন পদ দেওয়া হয়। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিল বিজেপি (BJP)। একুশের ভোটে এই সিদ্ধান্তের কি প্রভাব পড়ে, এখন সেটাই দেখার। 

.