দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে ফের প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
জানা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন মায়া দত্ত। বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তাঁদের একমাত্র ছেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নেতাজিনগরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের কিনারা এখনও হয়নি। তারমধ্যে এক সপ্তাহের ভিতর দক্ষিণ কলকাতায় ফের রহস্য মৃত্যু প্রৌঢ়ার। বৃহস্পতিবার রাতে মায়া দত্ত নামে ওই প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বিজয়গড়ের বাড়ি থেকে। জানা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন মায়া দত্ত। বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তাঁদের একমাত্র ছেলে।
মায়াদেবীর স্বামীর দাবি, ঘটনার সময় তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। এ দিন সন্ধে ৭টা নাগাদ বাজার করতে গিয়েছিলেন তিনি। আধঘণ্টা পর ফিরে এসে তিনি দেখেন, বাইরে থেকে ভেজানো রয়েছ দরজা। ঠেলা দিতেই খুলে যায় দরজা। ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পান সিলিং থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত প্রৌঢ়ার দেহ। তখনই পুলিসে খবর দেন তিনি।
প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে বহুদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন ওই প্রৌঢ়া। তা সত্ত্বেও মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে কীভাবে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি? সেখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। পাশাপাশি মৃতদেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি। সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না প্রৌঢ়ার। এই অবস্থায় পুলিসের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মৃতার স্বামীও।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নাকি খুন? টালিগঞ্জে বহুতলের বারান্দা থেকে পড়ে ফের প্রৌঢ়ের মৃত্যু
প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গত রাতে মৃতার স্বামী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তবে প্রৌঢ়ার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মৃতার স্বামীকে। তবে কাজ মিটলেই আবার তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। অন্য়দিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মায়া দত্তের দেহ। রিপোর্ট মিললেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিস। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন, জানা যাবে তা-ও।