Sougata Roy On Dilip Ghosh: ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিতে চান দিলীপ! বোমা ফাটালেন সৌগত
Sougata Roy On Dilip Ghosh: দলে কোণঠাসা হতেই ঘাসফুল শিবিরের দিকে ঝুঁকেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যার পাল্টা দিলীপ বলেন, 'কাকে বলেছি, কখন বলেছি, উনি বলুন। ওনাকে বলেছি কি যে আমাকে পার্টিতে নিন! নাকি উনি বিজেপিতে আসতে চাইছিলেন?'
প্রবীর চক্রবর্তী: 'তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগে ও পরে যোগাযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।' দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সৌগত রায়ের। সৌগত রায়ের এই বক্তব্যের পরই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। দিলীপ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেন, 'বিজেপিতে এখন দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব নেই। আর সেই কারণেই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।' প্রসঙ্গত এদিন সকালেই দুর্গাপুরে একটি চা-চক্রে সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তারই উত্তর দিতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, দিলীপ ঘোষের কথার তিনি কোনও উত্তর দেবেন না। তারপরই দিলীপ প্রসঙ্গে বোমা ফাটান তিনি।
সৌগত রায় বলেন, 'দিলীপ ঘোষের কথার কোনও জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে। কারণ জবাব দিলে ওকে গ্লোরিফাই করা হয়। আমি তাই কোনও জবাব দেব না। ওর যা ক্ষমতা আছে, করে নেবে। ওকে তো দল রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তিনি তৃণমূলের সাথেও যোগাযোগ রাখছিলেন। নির্বাচনের আগে ও পরে।' সৌগত রায়ের দাবি, দলে কোণঠাসা হতেই ঘাসফুল শিবিরের দিকে ঝুঁকেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যোগাযোগ করেছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে দলে নেওয়ার বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখায়নি। কারণ দিলীপ ঘোষ যেহেতু অপরিহার্য নন, তাই তৃণমূল কংগ্রেস চায়নি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ পদ্মশিবির ত্যাগ করে ভোটের আগে ঘাসফুলে আসুক।
আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: কে আপনি হরিদাস পাল? মেয়ের চাকরি প্রশ্নে মেজাজ হারালেন কেষ্ট
যার জবাবে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, 'কাকে বলেছি, কখন বলেছি, উনি বলুন। ওনাকে বলেছি কি যে আমাকে পার্টিতে নিন! নাকি উনি বিজেপিতে আসতে চাইছিলেন? ওনার দায়িত্ব এটা বলা যে আমি কাকে কখন বলেছি। সেটা প্রমাণ করার। উনি যা-ই বলুন, সেটা কেউ বিশ্বাস করবে না। বরং উনি যে অর্পিতার বাড়িতে যেতেন, সেটা টালিগঞ্জের লোক বলছে।' এর পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, 'আমার মনে হয় ওনার চিকিৎসার প্রয়োজন। উনি কি এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিবেক? দীর্ঘ ১০ বছর যখন চাকরি বিক্রি হয়েছে, তখন তো কেউ টুঁ শব্দ উচ্চারণ করেনি! যেখানেই নিয়োগ, সেখানেই দুর্নীতি।' আরও বলেন, 'তৃণমূলের দিন শেষ। তৃণমূলকে এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।'