লেনিন নাকি! বিরাট বিপ্লব ঘটিয়েছেন, সেলিমকে তীব্র খোঁচা সোমেনের
রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ দুটি আসন ছাড়তে নারাজ কোনওপক্ষই।
মৌমিতা চক্রবর্তী
লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা অঙ্কুরেই কি বিনষ্ট হবে? রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি নিয়ে গোঁ ধরে রয়েছে প্রদেশ। ওই দুটি আসন ছাড়া না হলে সমঝোতা হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সোমেন মিত্র। আর কংগ্রেসের এহেন অবস্থানে নিজেকে সামলাতে পারেননি রায়গঞ্জের সাংসদ। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে মহম্মদ সেলিম জানান, সব শেয়ার একজোট হয়ে তাঁকে আটকাতে চাইছে। সেলিমের মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ সোমেন মিত্রের পাল্টা কটাক্ষ, নিজেরে লেনিন ভেবেছেন নাকি!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,''মহম্মদ সেলিম কি লেনিন নাকি? আগে রায়গঞ্জের মানুষকে গিয়ে বোঝান। ওনার কথা সেখানকার লোকেই শুনছে না। সংসদে গিয়ে তো বিরাট বিপ্লব ঘটিয়েছেন!'' বলে রাখি, সংসদে একাধিকবার কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করে বিজেপি ও তৃণমূলকে বিঁধেছেন সুবক্তা মহম্মদ সেলিম।
বুধবার জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, অনেকের কাছে গতবার আমার জেতাটাই অপরাধ হয়ে গিয়েছে। সব শিয়াল এক হয়ে বলছে, সেলিমকে সংসদে যেতে দেওয়া যাবে না। সেলিম মনে করিয়ে দেন, সমঝোতার প্রাথমিক শর্ত জেতা আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে সোমেন মিত্র স্পষ্ট জানিয়ে এসেছেন, মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন দুটি চাই কংগ্রেসের। ওই দুটি আসনেই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার সিপিএম জিতলেই সেই সংগঠন তাদের নেই। শর্তে রাজি না হলে ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের আবদার মানবে সিপিএম। ওই দুটি আসন তাদের ছাড়া না হলে সমঝোতার পথে হাঁটবে না আলিমুদ্দিন।
২০১৪ সালে রায়গঞ্জে জিতেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম এবং মুর্শিদাবাদে জয়ী হন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। গতবারের পরাজিত প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি রায়গঞ্জ ছাড়তে নারাজ। তাঁর যুক্তি, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগে এবার কংগ্রেসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ২০১৪ সালে মাত্র দেড় হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী।
সবমিলিয়ে বিশ বাঁও জলে সিপিএম-কংগ্রেস জোট। সম্ভবত চতুর্মুখী লড়াই দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে ভোট ভাগ হলে লাভবান হতে পারে বিজেপি।