একশো কাটা জমি জবরদখল করে রাখার অভিযোগ শ্রীকান্ত মোহতার সংস্থার বিরুদ্ধে
তারাতলার P-51 হাইড রোডে এই একশো কাটা জমিই তিন বছর ধরে জবরদখল করে রাখার অভিযোগ শ্রীকান্ত মোহতার সংস্থার বিরুদ্ধে। বন্দর সূত্রে খবর, জমির বাজার দর প্রায় বেস রেট ১১ কোটি টাকা। ভাড়া দিলে বছরে কমপক্ষে এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা বন্দরের। কিন্তু, এক পয়সাও আদায় হয় না। কীভাবে জবরদখল হল বন্দরের জমি? চোখ রাখতে হবে ইতিহাসে।
ওয়েব ডেস্ক: তারাতলার P-51 হাইড রোডে এই একশো কাটা জমিই তিন বছর ধরে জবরদখল করে রাখার অভিযোগ শ্রীকান্ত মোহতার সংস্থার বিরুদ্ধে। বন্দর সূত্রে খবর, জমির বাজার দর প্রায় বেস রেট ১১ কোটি টাকা। ভাড়া দিলে বছরে কমপক্ষে এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা বন্দরের। কিন্তু, এক পয়সাও আদায় হয় না। কীভাবে জবরদখল হল বন্দরের জমি? চোখ রাখতে হবে ইতিহাসে।
১৯৬৯ সালে বন্দরের থেকে ১১৩ হাজার বর্গমিটার জমি লিজ নেয় অ্যাভেরি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওজন যন্ত্র নির্মাণ সংস্থা। ১৯৯৯ সালে ৩০ বছরের লিজের মেয়াদ শেষ হেল বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখে জমিতে একাধিক সংস্থা স্থায়ী কাঠামো বানিয়ে ফেলেছে
জমি ফেরত পেতে ২০০০ সালে দ্য পাবলিক প্রেমিসেস (এভিকশন অফ আনঅথোরাইজড অকুপ্যান্টস) আইনে এস্টেট আদালতে মামলা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মামলার শুনানিতে অ্যাভেরির হয়ে এস্টেট আদালতে হাজির হন LMJ কনস্ট্রাকশন সংস্থার প্রতিনিধিরা। আদালতে LMJ কনস্ট্রাকশনের দাবি ছিল, অ্যাভেরির হয়ে জমির রক্ষণাবেক্ষণ তারাই করে
২০১১ সালের ৭ মার্চ সব জবর দখলকারীকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন পোর্ট ট্রাস্টের এস্টেট অফিসার। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ উচ্চ আদালতে যায় LMJ কনস্ট্রাকশন, যদিও কোথাওই স্থগিতাদেশ মেলেনি।
এরপর ২০১২ সালের জুন মাসে জমি উদ্ধারে গিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখে সেখানে একশো কাটা জমি দখল করে রেখে ভেক্টটেশ ফিল্মস। ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের দাবি, LMJ কনস্ট্রাকশনের থেকে জমি সাব লিজ নিয়েছে তারা।
প্রশ্ন উঠছে, ১৯৯৯ সালে জমির লিজচুক্তিই যদি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, সেই জমি সাব লিজ হয় কী করে?
প্রশ্ন এও উঠছে, বন্দরকে না জানিয়ে কী করে ওই জমিকে সাবলিজ দেওয়া গেল?
২০১২ থেকে বারবার এই জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বারবার পুলিসের সাহায্যও চাওয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুলিসের সাহায্য পাওয়া যায়নি।