আঁধারেই ডুবছে শালিমার পেন্টসের ভবিষ্যত্‍

আঁধারেই ডুবছে শালিমার পেন্টসের ভবিষ্যত। কারাখানা খোলার যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দিয়ে হাত গুটিয়ে নিল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পুড়ে যাওয়া কারখানা সারিয়ে, সাজিয়ে-গুছিয়ে উত্পাদন শুরু করা আর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে আজ সকাল থেকেই কারখানার সামনে অবস্থানে বসেছে কাজ হারানো শ্রমিকদের পরিবার। সংস্থার এক মুখপাত্র আজ পিটিআইকে জানান, কারখানা খোলার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই।

Updated By: Jul 20, 2014, 01:34 PM IST

শালিমার: আঁধারেই ডুবছে শালিমার পেন্টসের ভবিষ্যত। কারাখানা খোলার যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দিয়ে হাত গুটিয়ে নিল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পুড়ে যাওয়া কারখানা সারিয়ে, সাজিয়ে-গুছিয়ে উত্পাদন শুরু করা আর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে আজ সকাল থেকেই কারখানার সামনে অবস্থানে বসেছে কাজ হারানো শ্রমিকদের পরিবার। সংস্থার এক মুখপাত্র আজ পিটিআইকে জানান, কারখানা খোলার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই।

পূর্ণমাত্রায় উত্পাদন শুরুর জন্য এখনই প্রয়োজন ৬০ কোটি টাকা। যা সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাড়িতে। ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংস্থার আর্থিক দিকটি অত্যন্ত স্বচ্ছ। বাড়তি কোনও রোজগারের পথ নেই। তাই এই ষাট কোটি টাকা খরচ করে পুনরায় উত্পাদন শুরু করা সম্ভব নয়। ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, গত বছর সংস্থার লোকসান হয় দু কোটি আট লক্ষ টাকা। সুতরাং নতুন করে বিনিয়োগ করা আর সম্ভব নয়। সংস্থার অনুমোদিত ঋণ নেওয়ার সীমা ১১০ কোটি টাকা।

ইতিমধ্যেই সেই সীমায় পৌছে গিয়েছে কোম্পানি। নতুন করে আর ঋণ নেওয়াও এই মুহূর্তে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। আইএনটিটিইউসির বক্তব্য, গভীর চক্রান্ত চলছে। সরকারকে বিভ্রান্ত করছে কর্তৃপক্ষ।  গত মার্চেই আগুন লেগেছিল এই কারখানায়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। চলতি মাসের ষোলো তারিখ হাওড়ার এই কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কাজ হারান প্রায় দেড়শো কর্মী। কারখানা বন্ধের একদিন পরেই কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি ওই বৈঠক থেকে। হাওড়া ছাড়াও সংস্থার কারখানা রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং দিল্লির কাছে সেকেন্দ্রাবাদে। 

.