পদত্যাগী সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুনর্বাসন মহাকরণে

সাতজন পদত্যাগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করে পুনর্বাসন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য রাজ্যের সাতটি দফতরে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি  হয়েছে। কিন্তু কেন এই দফতরগুলোর মাথায় উপদেষ্টা হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রীদের আনা হল, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

Updated By: Oct 5, 2012, 06:01 PM IST

সাতজন পদত্যাগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করে পুনর্বাসন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য রাজ্যের সাতটি দফতরে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি  হয়েছে। কিন্তু কেন এই দফতরগুলোর মাথায় উপদেষ্টা হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রীদের আনা হল, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ শিরোধার্য করে মনমোহন সিংয়ের ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন মুকুল রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তারই পুরস্কার হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করে তাঁদের পুনর্বাসন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মুকুল রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন নগরোন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান। গ্রামোন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন শিশির অধিকারী। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ। পর্যটন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান দীনেশ ত্রিবেদী। চৌধুরী মোহন জাটুয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। শিল্প দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সৌগত রায়।
 
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই কমিটিগুলিতে চেয়ারম্যান পদে গত পয়লা অক্টোবর থেকে কাজ করছেন তৃণমূলের সাতজন প্রাক্তন মন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিনা বেতনেই উপদেষ্টা কমিটিতে আপাতত থাকতে হচ্ছে তাঁদের। প্রশ্ন উঠেছে, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির দায়িত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠরা থাকলেও এই সাতজনকে কেন উপদেষ্টা হিসেবে আনা হল? মহাকরণ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি দফতরের কাজে গতি আনতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।
 
ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার বাস, ট্যাক্সি মালিকদের চাপ সামাল দিতে নাজেহাল পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তার ওপর সরকারি পরিবহণ কার্যত মুখ থুবড় পড়েছে। তথৈবচ বেসরকারি পরিবহণও। এই পরিস্থিতিতে রেলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই মুকুল রায়কে পরিবহণ দফতরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাতে তাঁর ক্ষমতা খর্ব হবে বলে মনে করেন না মদন মিত্র।
আবার রাজ্যের পর্যটন দফতরের কাজকর্মে খুশি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই দফতরের মাথার ওপর বসিয়েছেন আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে। একই কারণ সুন্দরবন উন্নয়ন নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গড়ার ক্ষেত্রেও। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শিল্পেও বিনিয়োগের জোয়ার টানতে সৌগত রায়ের মতো একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিককে ওই দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু উন্নয়নেও গতি আনতে সুলতান আহমেদের পরামর্শ চাইছেন মমতা। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রী থাকতেও কেন গ্রামোন্নয়ন দফতরের জন্য আলাদা কমিটি তৈরি হল? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভোটের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ শিশির অধিকারী এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো পোড় খাওয়া নেতাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। 

.