নিরাপদে নেই প্রবীণরা

বাড়িতে কেউ একা থাকলে,  এখন নিরাপত্তা কোথায়?  খাস কলকাতা  সেখানেও ওত্‍ পেতে রয়েছে বিপদ। খুন-জখম, চুরি-ডাকাতি এখন যেন জলভাত হয়ে গিয়েছে। একের পর এক অপরাধ। বিশেষ করে, এখন টার্গেট হচ্ছেন প্রবীণরা। সেই তালিকাতেই এবার যোগ হল  লেকটাউনের মধু জৈনের নাম। 

Updated By: Feb 27, 2016, 12:23 PM IST
নিরাপদে নেই প্রবীণরা

ওয়েব ডেস্ক: বাড়িতে কেউ একা থাকলে,  এখন নিরাপত্তা কোথায়?  খাস কলকাতা  সেখানেও ওত্‍ পেতে রয়েছে বিপদ। খুন-জখম, চুরি-ডাকাতি এখন যেন জলভাত হয়ে গিয়েছে। একের পর এক অপরাধ। বিশেষ করে, এখন টার্গেট হচ্ছেন প্রবীণরা। সেই তালিকাতেই এবার যোগ হল  লেকটাউনের মধু জৈনের নাম। 

অর্থের অভাব নেই। ঘর ভর্তি দামী জিনিস পত্র। অভাব শুধু স্বজনের। ছেলে-মেয়ে পেশার খাতিরে বিদেশে। অথবা হয়ত বিয়ের পর বাইরে। ফ্ল্যাট আগলে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। নিঃসঙ্গ। এই ছবি এখন শহরের পাড়ায় পাড়ায়। আর এই প্রবীণরাই বারবার পড়ছেন দুষ্কৃতীদের নিশানায়। 

জুন, ২০১৩, পাটুলি- পাটুলিতে খুন সুজিত চৌধুরী। টাকার লোভে বৃদ্ধকে খুন করা হয়।

জুলাই,  ২০১৩, কসবা- কসবার বাড়িতে সুলোচনা চারি নামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। এখনও খুনের কিনারা হয়নি।

ডিসেম্বর, ২০১৩, পাটুলি- সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। পাটুলিতে খুন শঙ্করপ্রসাদ রায়। প্রমাণ লোপাটে চৌবাচ্চার ভিতর বৃদ্ধর দেহ রেখে চারদিকে কংক্রিটের গাঁথনি দিয়ে দেয় আততায়ী।

ডিসেম্বর, ২০১৪, যতীন দাস রোড- দক্ষিণ কলকাতার যতীন দাস রোডে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা কমলা মিন্ত্রির  রক্তাক্ত মৃতদেহ।  টাকার লোভে খুন করা হয় তাঁকে। গ্রেফতার পরিচারক।

জুন, ২০১৪, এলিয়ট রোড- টাকার লোভে পার্ক স্ট্রিটের কাছে এলিয়ট রোডের বাসিন্দা বৃদ্ধ দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।

ডিসেম্বর, ২০১৪, গার্ডেনরিচ- গার্ডেনরিচের  ফ্ল্যাটে কুপিয়ে খুন বৃদ্ধা জোহরা খাতুন।

৮ জানুয়ারি, ২০১৫, হরিদেবপুর- হরিদেবপুরে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার মাথা ফাটিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের।

১৭ জুলাই, ২০১৫, পাইকপাড়া- পাইকপাড়ার আবাসনে খুন অধ্যাপক প্রাণগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী রেণুকা দাস।  টাকার জন্য পরিচিতের হাতেই প্রাণ যায় দম্পতির।

৪ জানুয়ারি, ২০১৬, কসবা- কসবায় নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হয়ে যান বৃদ্ধা কমলা রাজবংশী। সম্পত্তির জন্য সুপারি কিলার দিয়ে বৃদ্ধাকে খুন করায় তাঁর জামাই।

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, তালতলা- খুন হন বছর পঁয়ষট্টির আলো মজুমদার। একাই থাকতেন ডক্টরস লেনের বাড়িতে। দশদিনের মাথায় খুনের রহস্যভেদ। গয়না ও টাকার লোভেই বৃদ্ধাকে খুন করে, নিহত আলো মজুমদারের ভাইয়ের শ্যালিকা।

কখনও অতি বিশ্বস্ত পরিচারক বা পরিচারিকা। কখনও বাড়িতে কাজ করতে আসা মিস্ত্রি। কখনও হয়ত নিকটাত্মীয়রাই। বার বার নিশানায় এই অসহায় প্রবীণরা। রক্ষাকবচ কোথায়? নিরাপত্তার দায় কার? প্রশ্ন অনেক। কিন্তু জবাব!... নেই।

.