‘মারামারি করে দলের সম্মান নষ্ট করবেন না’, দলীয় কর্মীদের চরম বার্তা দিলীপ ঘোষের
“প্রচুর মানুষ আছেন, যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। সেই সব প্রত্যেক মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছতে হবে।”
![‘মারামারি করে দলের সম্মান নষ্ট করবেন না’, দলীয় কর্মীদের চরম বার্তা দিলীপ ঘোষের ‘মারামারি করে দলের সম্মান নষ্ট করবেন না’, দলীয় কর্মীদের চরম বার্তা দিলীপ ঘোষের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/27/205986-dilip-ghosh.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: “সাংগঠনিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মারামারি করে দলের সম্মান নষ্ট করবেন না।”সহমতের ভিত্তিতেই হবে নির্বাচন। মঙ্গলবার তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনের বৈঠক ছিল মঙ্গলবার। এদিন দলের প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ককে ডাকা হয়। উপস্থিত থাকেন জেলার সভাপতিরাও। মূলত বুথ স্তর থেকেই কীভাবে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তাই ছিল এদিনের বৈঠকের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এদিন দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীদের পাঠ পড়ান দিলীপ ঘোষ। তিনি কার্যত স্পষ্ট করে দেন, দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হবে সহমতের ভিত্তিতেই। এখানে কোনওপ্রকার বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।
স্বামী বিএসএফ-এ কর্মরত, সেইসুযোগে রাতবিরেতে প্রচুর ছেলে বাড়িতে ঢোকাত দীপা! উঠে আসছে আরও তথ্য
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলের নির্বাচন শুরু হবে। এমন কিছু করবেন না, যা দলের সন্মান নষ্ট করে।”বিষয়টি স্পষ্ট করতে ব্যাখ্যা করে বলেন, “দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনারা কেউ মারামারি করবেন না। তা সহমতের ভিত্তিতেই হবে। দল একটি পরিবারের মতো। একটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যেমন একজনের কথা মেনে চলে, এক্ষেত্রে আপনাদেরও তাই করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
সেইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে আরও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন দিলীপবাবু। তাঁর দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে দু কোটি তিরিশ লক্ষের ওপর ভোট পেয়েছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংখ্যা আগামী নির্বাচনের আগেই এক কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রচুর মানুষ আছেন, যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। সেই সব প্রত্যেক মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছতে হবে।”
‘উত্তরসুরী’ হিসাবে ইজাজকে ভারতে JMB-র প্রধান বানানোর প্রস্তাব দিয়েছিল কওসরই!
যদিও এদিনের বৈঠকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকে যেভাবে প্রতিটা নির্বাচনেই বিজেপি তাদের ভোট বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে, আর মোটামুটি ভাবে দ্বিতীয় স্থানটা ধরে রাখতে পারছে, তা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটা নতুন ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে দিয়েছে বিজেপি। একুশের নির্বাচনে বাংলায় যে প্রথম স্থানটাই দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করার প্রয়াসে পদ্ম শিবির।