সারদা সম্পত্তির ৯৫ শতাংশ ২০০১০-২০১৩ সালে তুলেছিলেন সুদীপ্ত সেন
২০১০ থেকে ২০১৩। এই তিনবছরে মোট আমানতের ৯৫ শতাংশ বাজার থেকে তুলেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তদন্তকারীদের অডিটে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ইডির গোয়েন্দাদের অনুমান,সুদীপ্ত সেনের এমন আচমকা উত্থানের পিছনে অন্যতম বড় কারণ ওই সময়ের রাজনৈতিক সমীকরণ।
২০১০ থেকে ২০১৩। এই তিনবছরে মোট আমানতের ৯৫ শতাংশ বাজার থেকে তুলেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তদন্তকারীদের অডিটে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ইডির গোয়েন্দাদের অনুমান,সুদীপ্ত সেনের এমন আচমকা উত্থানের পিছনে অন্যতম বড় কারণ ওই সময়ের রাজনৈতিক সমীকরণ।
২০০৮ থেকেই চিটফান্ডের ব্যবসায় রয়েছে সারদা। কিন্তু, ২০১০ মাঝামাঝি পর্যন্ত আর ৫টা কোম্পানির সঙ্গে বিশেষ কোনও পার্থক্য ছিল না সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের। সারদার যাবতীয় রমরমা শুরু হয় দু হাজার দশের শেষ থেকে।শেষ তিন বছরে দুহাজার তিনশো কোটি টাকার বেশি আমানত সংগ্রহ করে সামান্য এক ব্যবসায়ী থেকে সারদা সাম্রাজ্যের কর্ণধার হয়ে ওঠেন সুদীপ্ত সেন। সারদার টাকার হদিস করতে গিয়ে তদন্তে নেমে এমনই জানতে পেরেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
মাত্র ৩ বছরে কী ভাবে ফুলেফেঁপে উঠলেন সুদীপ্ত সেন? সারদার অডিটে যে তথ্য এসেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ইডির গোয়েন্দাদের।
২০০৮-১০ সালে সারদার সংগৃহীত আমানত ১১২ কোটি টাকা। পরের ৩ বছরে আমানত লাফিয়ে পৌছে যায় ২৩১৯কোটি টাকায়। ইডির তদন্তকারীরা মনে করছে সুদীপ্তর আচমকা উত্থানের পিছনে অন্যতম বড় কারণ ওই ৩ বছরে রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
সারদার কাগজপত্রের সঙ্গে ইডির গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে আরও কিছু নথি যা থেকে স্পষ্ট শাসকদলের প্রভাবশালী নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্পর্ককে নিজের ব্যবসা বাড়ানোর কাজে পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। সারদার প্রতি আমানতকারীদের আস্থা বাড়াতেও শাসকদলের নেতাদের দরাজ সার্টিফিকেটকেই হাতিয়ার করতেন সারদা কর্তা। এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা।