সারদাকাণ্ডে "অজ্ঞাত পরিচয় অপরাধী` কারা?

সারদা কাণ্ডে বিনিয়োগকারীদের টাকা তছরুপে গ্রেফতার হওয়া ছ`জন ছাড়া অন্য অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরাও জড়িত। এদের পরিচয় জানা না গেলেও সিবিআইয়ের এফআইআর অনুসারে ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্‍ করার ষড়যন্ত্রে এরাও জড়িত। রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানীস, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবির মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও সারদার বেআইনী কারবার বন্ধে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে সিবিআই মনে করে।

Updated By: Jun 21, 2014, 07:51 PM IST

সারদা কাণ্ডে বিনিয়োগকারীদের টাকা তছরুপে গ্রেফতার হওয়া ছ`জন ছাড়া অন্য অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরাও জড়িত। এদের পরিচয় জানা না গেলেও সিবিআইয়ের এফআইআর অনুসারে ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্‍ করার ষড়যন্ত্রে এরাও জড়িত। রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানীস, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবির মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও সারদার বেআইনী কারবার বন্ধে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে সিবিআই মনে করে।

সিবিআইয়ের এফআইআরে সারদাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে একাধিকবার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের উল্লেখ রয়েছে। ধৃত সুদীপ্ত সেন, মনোজ নাগেল, দেবযানী মুখার্জি, অরবিন্দ চৌহান, কুনাল ঘোষ এবং সোমনাথ দত্তের সঙ্গে এই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরাও ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে ঠকানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে সিবিআই বলছে।

গোড়া থেকেই টাকা হাতানোর লক্ষ্য নিয়েই ব্যবসা ফেঁদেছিলেন সুদীপ্ত সেন ও অন্যরা। আমানতকারীদের থেকে তোলা টাকা কোনও বৈধ ব্যবসায় খাটিয়ে টাকা রোজগারের কোনও চেষ্টাই কখনও করা হয়নি। কোম্পানীর ডিরেক্টর এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত কাজেই সেই টাকা ব্যবহৃত হয়েছে। সারদার এক কোম্পানী থেকে আরেক অলাভজনক কোম্পানীতে টাকা সরানোই হোত ছয় অভিযুক্ত এবং অন্য অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত স্বার্থে। সুদীপ্ত সেন সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করত।

সিবিআইয়ের মতে এই পুরো আর্থিক প্রতারণার পরিকল্পনায় ওই সব অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের হাত থাকতে পারে।

সারদা গোষ্ঠী এক সময় সাত দিনে পঞ্চাশটি এবং একই দিনে পনেরোটি কোম্পানী খুলেছে। সিবিআই মনে করে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানীস তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সেবিও যদি ঠিকঠাক নজরদারি করত তাহলে প্রতারণার জাল এতোদূর ছড়াতো না।

.