পিয়ালি সেনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৪০টি বিশেষ নম্বরের হদিশ পেয়েছে ইডি। তারমধ্যে পাঁচটি নম্বর রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তির। ইডি (ED) সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হওয়ার পরেও ৪০টি নম্বরে নিয়মিত ফোন করতেন পিয়ালি সেন। এমনকি নিজে গ্রেফতার হওয়ার আগেও রাজ্যের ওই পাঁচজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বরে ফোন করেছিলেন সারদা কর্তার স্ত্রী।

Updated By: Apr 20, 2014, 09:12 AM IST

সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পিয়ালি সেন কল রেকর্ড পরীক্ষা করে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৪০টি বিশেষ নম্বরের হদিশ পেয়েছে ইডি। তারমধ্যে পাঁচটি নম্বর রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তির। ইডি (ED) সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হওয়ার পরেও ৪০টি নম্বরে নিয়মিত ফোন করতেন পিয়ালি সেন। এমনকি নিজে গ্রেফতার হওয়ার আগেও রাজ্যের ওই পাঁচজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বরে ফোন করেছিলেন সারদা কর্তার স্ত্রী।

এদিকে, সারদা মামলায় আরও এগোচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারদা কেলেঙ্কারির খুঁটিনাটি জানতে পনেরো জনের বক্তব্য নথিভুক্ত করতে সমন পাঠাল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সমন গেছে পাঁচজন দাপুটে নেতা এবং সেবির দুই প্রাক্তন কর্তার কাছেও। পঁচিশে এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করতে হবে।

অন্যদিকে, দিল্লিতে আর্থিক তছরূপের একটি মামলায় সুদীপ্ত সেনকে জেরা করতে পারে ইডি। সেজন্য সুদীপ্ত সেনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি। সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই পনেরোজনের বক্তব্য নথিভুক্ত করতে সমন পাঠিয়েছে ইডি। যার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের পাঁচজন দাপুটে নেতা। সমন গেছে সেবির দুই প্রাক্তন কর্তার কাছেও। পঁচিশে এপ্রিলের মধ্যে ইডির কাছে বয়ান নথিভুক্ত করতে হবে তাঁদের।

অন্যদিকে, আর্থিক প্রতারণা মামলায় সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষকেও নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি। শুক্রবার রাতভর জেরায় সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেন তদন্তকারীদের জানান, গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত পিয়ালি ও সুদীপ্ত সেনের ছেলে শুভজিত সেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল কুণাল ঘোষের। পিয়ালির কাছে সুদীপ্ত সেনের একটি সিডি সম্পর্কে তথ্য জানতে চাপ দিচ্ছিল কুণাল ঘোষ। যদিও পিয়ালির দাবি ওই সিডি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।

সেই সম্পর্কে তথ্য পেতেই এবার কুণালকে নিজেদের হেফাজতে চায় ইডি। শনিবার সল্টলেকে ইডির দফতরে যান সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী সমীর দাস। সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। যদিও ইডির অফিসারদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। আইনজীবী মারফত সুদীপ্ত সেন ইডির অফিসারদের কাছে জানতে চান, সারদার কোনও ব্যবসায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হল?

শনিবারই বিধাননগরের একটি ব্যাঙ্কে হানা দেন ইডির অফিসাররা। ওই ব্যাঙ্কেই সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালি সেনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

.