প্লেনামে বিস্ফোরক শমীক- সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বললেন,'দলে গণতন্ত্র নেই'

যতদিন নেতারা কর্মীদর ওপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন, ততদিন আর যাই হোক সংগঠন নতুন করে তৈরি করা সম্ভব হবে না। দলীয় প্লেনামে এভাবেই শীর্ষ নেতাদের সমালোচনায় বিঁধলেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি। বুদ্ধ-বিমান-সূর্য-ইয়েচুরি-কারাতদের সামনে শমীক বলেন, কমিউনিস্ট দলের নীতি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। কিন্তু সিপিএমে শুধুই কেন্দ্রিকতা চলছে।

Updated By: Dec 28, 2015, 07:24 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: যতদিন নেতারা কর্মীদর ওপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন, ততদিন আর যাই হোক সংগঠন নতুন করে তৈরি করা সম্ভব হবে না। দলীয় প্লেনামে এভাবেই শীর্ষ নেতাদের সমালোচনায় বিঁধলেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি। বুদ্ধ-বিমান-সূর্য-ইয়েচুরি-কারাতদের সামনে শমীক বলেন, কমিউনিস্ট দলের নীতি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। কিন্তু সিপিএমে শুধুই কেন্দ্রিকতা চলছে।

প্লেনামে বিস্ফোরক শমীক
দলে গণতন্ত্র নেই
নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা
সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ

খোল নলচে বদলে ফেলে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে। সেই পথ খুঁজতেই কলকাতায় শুরু হয়েছে সিপিএমের পাঁচদিনের প্লেনাম। প্লেনামে প্রথম বক্তা ছিলেন বাংলার শমীক লাহিড়ি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাটদের সামনেই নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। তিনি বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার নীতি নিয়ে সংগঠন চালায়। কিন্তু সিপিএমে এখন গণতন্ত্রের বদলে শুধুই কেন্দ্রিকতা চলছে। নেতারা উচ্চতর কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নীচুতলার কর্মীদের ওপর। কর্মীদের বক্তব্য শোনার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছেন নেতারা, যা দলীয় সংগঠনকে তাসের ঘরের মত করে দিচ্ছে।

শুধু বাংলার শমীক লাহিড়িই নন, নেতাদের সমালোচনা শোনা গেল কেরালা,ত্রিপুরার প্রতিনিধিদের মুখেও। তাঁদের বক্তব্য,  গণসংগঠনগুলি কমিউনিস্ট পার্টির লাইফলাইন। অথচ তাদেরই নিজেদের মত কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বকলমে  গণসংগঠন চালাচ্ছেন পার্টির নেতারাই। ফলে SFI, DYFI, মহিলা সমিতি, কৃষক সভার মত সংগঠন থেকে নেতা তৈরি হওয়া কার্যত বন্ধ।  সেকারণেই গড়ে উঠছে না দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতৃত্ব।  তারই মাসুল দিতে হচ্ছে সিপিএমকে। ফলে চাইলেও বয়স্ক নেতাদের ছাড়তে পারছে না দল।

.