Recumbent Cycle: শহরের রাস্তায় অদ্ভুত সাইকেল, দেশে রয়েছে মাত্র ৩টি
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন রেসিং সাইকেলের পার্টস সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৮ দিনের চেষ্টায় তৈরি হয় দেশের তৃতীয় রিকামবেন্ট সাইকেল।
অয়ন ঘোষাল: এরকম সাইকেল আগে দেখেনি কলকাতা। দেশে এরকম সাইকেল আছে সাকুল্যে তিনটি। এর নাম রিকামবেন্ট।
এই সাইকেল এমনই যার প্যাডেল সাইকেলের হাতলেরও প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার উপরে। যিনি সাইকেল চালাবেন, তার প্রায় কাঁধের সমান্তরাল থাকবে প্যাডেল। অথচ এই সাইকেল হাতে নয় পায়েই চলে। যিনি সাইকেল চালাচ্ছেন, তিনি সিটের ওপর আধশোয়া। রিল্যাক্স করে পিঠ এলিয়ে দিয়েছেন ব্যাক সিটে।
এই অবস্থাতেই সাইকেলে সর্বোচ্চ স্পিড উঠছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ইউরোপের দেশে এই ধরণের সাইকেলের দেখা মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। ভারতে যদিও এই সাইকেল বিরল। দেশের কোনও দোকানে এই সাইকেল বিক্রি হয়না। তৈরি হয়না দেশীয় কোনও সাইকেল ফ্যাক্টরিতেও। এই সাইকেল ৬৩ বছরের সজল রায়ের নিজের হাতে বানানো। মূলত রিকামবেন্ট সাইকেলের ভিডিয়ো দেখেই এই সাইকেল বানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: "পুলিস তৃণমূলের মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে আসে", দাবি দিলীপ ঘোষের
লকডাউনের আগে তার পেশা ছিল মাটি, ফাইবার অথবা ক্রিস্টাল টাইলস দিয়ে মূর্তি অথবা মিনিয়েচার তৈরি করা। করোনাকালে সেই পেশায় অস্বাভাবিক ভাঁটা পড়ে। বাড়িতে তখন কার্যত অখণ্ড অবসর ছিল তাঁর হাতে। সময়টা নষ্ট হতে দেননি এভারগ্রিন সজল রায়। সাইকেলের নেশা বরাবরই ছিল তাঁর। রিকামবেন্ট সাইকেলের বিভিন্ন ভ্যারিয়েশন নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়ে যায় এই সময়।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন রেসিং সাইকেলের পার্টস সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৮ দিনের চেষ্টায় তৈরি হয় দেশের তৃতীয় রিকামবেন্ট সাইকেল।